বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক: পুলিশ প্রহরায় টানটান উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট অফিসের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উদ্যোগে পরস্পর বিরোধী কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকালে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কন্স্যুলেট ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে বিএনপিসহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো। কন্স্যুলেট ভবনে হামলার আশঙ্কায় বিএনপিকে প্রতিহত করার সংকল্পে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মানববন্ধনের কর্মসূচি পালিত হয়।
দুই দলের কর্মসূচিকে ঘিরে নিউইয়র্ক সিটিতে উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে পরস্পর বিরোধী স্লোগান এবং আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রদানের ঘটনা ঘটলেও বেশ কয়েক ডজন পুলিশের উপস্থিতির কারণে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ৩ ঘণ্টার স্থায়ী কর্মসূচি শেষ হয়।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে আওয়ামী লীগের সমাবেশ থেকে বিএনপির কর্মীদের হামলার ঘটনার নিন্দা, প্রতিবাদ এবং দায়ীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়।
মহাসমাবেশে নেতৃবৃন্দের স্লোগান ছিল, ‘রায় নিয়ে সন্ত্রাস জনগণ মানবে না’, ‘আদালতের রায় মানতে হবে’, ‘সন্ত্রাস জনগণ মানবে না মানে না’, ‘শেখ হাসিনা সরকার-বারবার দরকার’ ইত্যাদি। এ স্লোগানে গলা মিলিয়েছেন কন্স্যুলেটে আসা সাধারণ প্রবাসীরাও।
বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আদালতের রায় যারা মানতে চায় না, তারা গণতন্ত্রের শত্রু। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।
যারা হাই কমিশনে হামলা করে তারা বাংলাদেশের শত্রু। ওরা জামাত-শিবিরের এজেন্ট। নিউইয়র্কে এ ধরনের আচরণ বরদাশত করা হবে না, উল্লেখ করেন ড. সিদ্দিক।
কন্স্যুলেট অফিসের সামনে রাস্তার বিপরীত দিকে পুলিশ বেষ্টনীতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধচিত্তে নানা স্লোগানে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। তারা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধ করার মধ্য দিয়ে সামনের নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিতের জন্যে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
খালেদার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পরই বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিউইয়র্কের এই কর্মসূচিতেও যুবদল, জাসাস, ছাত্রদল, তারেক পরিষদ, জাতীয়তাবাদি ফোরাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের ব্যানারে নেতাকর্মীরা অংশ নেন।