সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি, কালের খবর :
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর)। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয় মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করে। ঘোষণাপত্রের ৩০ অনুচ্ছেদে প্রতিটি ব্যক্তির অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্বের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘোষণাপত্র গ্রহণের দিনটি প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় “পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবাধিকার সাংবাদিক ফাউন্ডেশন” আজ ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ সকাল: ১০.৩০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন র্্যলি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সভাপতিত্ব করেন সংস্থার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ জুবায়েরুল ইসলাম,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের, অনুষ্ঠানটি সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মোঃ মুক্তার আহমেদ সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ভিতর ছিলেন: এম হোসেন রানা, সাফকাতুল ইসলাম চৌধুরী,দেলোয়ার হোসেন,কাজী মোস্তফা কামাল, ইসরাফিল হোসেন, সেখ আলী আব্বাস, মোঃ আলমগীর, সুমি আক্তার সহ আরো অনেক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে কথা বলেন দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জোড় প্রতিবাদ জানান। এছাড়াও সাংবাদিক, সমাজসেবক সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সর্বজনীন মানবাধিকার লংঘন হয়েছে। মানুষকে অকারনে হয়রানি করা হয়েছে, গুম করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে, মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচার চালানো হয়েছে।আমরা দেখেছি তৎকালীন সময় ক্ষমতাশীলদের আদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে গুম,খুন হত্যা এবং ক্রসফায়ারের মাধ্যমে দেশে মানবাধিকার লংঘন করা হয়েছে। তাই আমরা বলে দিতে চাই জুলাই আগস্ট রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের মাধ্যমে যে গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়েছে সে বিপ্লব-উত্তর বাংলাদেশে যেন আর কোন মায়ের বুক খালি না হয়, আর কোন প্রাণ যেন অঝরে ঝরে না যায়,আর কোন আর কারো ওপর যেন অমানবিক অন্যায় অত্যাচার না করা হয়। এই নব্য স্বাধীন দেশে বসবাস করবো সবাই সমান অধিকার নিয়ে কোন প্রকার বৈষম্যের শিকার যেন কেউ না হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন গত ৫ ই আগস্টের ছাত্র- জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পথ চল সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা আশাবাদী এই রক্তে অর্জিত দেশে সার্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং মানুষ ফিরে পাবে তার বাক স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যম ফিরে পাবে তার লেখার অধিকার এবং মানবাধিকার কর্মীরা ফিরে পাবে তাদের বলার অধিকার।
মহাসচিব তার বক্তব্য বলেন দেশে আর যেন রাজনৈতিক সহিংসতা ও গণতান্ত্রিক চর্চায় মানবাধিকার যেন লঙ্ঘিত তো না হয় তাই দেশে অবাধ মানবাধিকার চর্চায় মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে আর এজন্যই মুক্ত গণমাধ্যমে ব্যবস্থা করতে হবে সাংবাদিকদের মুক্ত লেখার মুক্ত লেখায় নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে এবং তাদের লেখা জন্য এবং মানবাধিকার কর্মীদের বলার জন্য অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে তাদের কন্ঠকে রোধ করার জন্য সকল কালো আই বাতিল করতে হবে মানবাধিকার রক্ষাকারীতে বিরুদ্ধে ভয় ভীতি দমন কিরণের সকল আইন কানুন বাতিল করতে হবে তাদের মুক্ত করে দিতে হবে পাখির মত। যেখানে ইচ্ছে তারা কথা বলবে লিখবে মানুষের অধিকার লঙ্গিত হলে।আর এই নিয়ম চালু করতে হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।প্রয়োজনে তাদের জন্য দেশের অভ্যন্তরে আইন প্রণয়ন করতে হবে। তাহলে দেশে কথা বিশ্বে আর কারো ওপার অন্যায় অত্যাচার ঘুম খুন হত্যা রাহাজানী শিকার হবে না বলে আমরা আশাবাদী আর এভাবেই দেশ তথা বিশ্বে মানব অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। কারণ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা হলেও সমাজের দর্পণ বা আয়নার মত যেখানে ছোট একট দাগ লাগলেও দেখা যায়। আর এই দেখ সকলের চোখে পড়ার কারণে আর থাকে না, যেই দেখে, সেই পরিষ্কারকরে দেয়।সুতরাং দাগ বা ময়লা থাকার প্রশ্নই আসে না। তাই দেশে খুন অন্যায় অবিচার বন্ধ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদেরকে অবাধ স্বাধীনতা তাহলে আগামীর দেশ হবে সুন্দর জাতি হবে উন্নত এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ত্বরান্বিত হবে আর এভাবেই দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।
পরিশেষে সভাপতি তার বক্তব্য বলেন সর্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে আদর্শবান হতে হবে, তিনি সবাইকে শান্তির কথা বলেন এবং মানবিক হওয়ার কথা বলেন এবং একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সম্মান প্রদর্শন ভালোবাসা ময় হতে বলেন, পরে তিনি আরোও বলেন সমাজে দেশে তথা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেকে আগে শান্তি প্রিও হতে হবে এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, যে যার অবস্থান হতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে, তাহলে দেশে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে হলে আমরা মনে করি।
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে শেষ হয়।