শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে লাভবান কৃষক, খিরা যাচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর তীব্র গরমে পথচারীদের সুপেয় পানি সরবরাহ করছে ফায়ার সার্ভিস। কালের খবর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ‘স্টুপিড মহিলা’ বলেছেন বিরোধী নেতা ?। কালের খবর

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ‘স্টুপিড মহিলা’ বলেছেন বিরোধী নেতা ?। কালের খবর

কালের খবর প্রতিবেদক :

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার সময় লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তাকে ‘স্টুপিড মহিলা’ বলেছেন দাবি করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন কনজারভেটিভ এমপিরা।

তবে মি. করবিন বলছেন, তিনি এরকম কোন শব্দ বলেননি।

বরং তিনি বলেছেন, ”স্টুপিড পিপল। ”
যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ বা নারীদের প্রতি বিদ্রূপমূলক ভাষা ব্যবহারের তিনি সবসময়েই বিরোধী বলে জানাছেন মি: করবিন।

এই অভিযোগ ওঠার পর হাউজ অফ কমন্সের স্পিকার জন বারকো বলছেন, ঘটনাটি তিনি দেখতে পাননি এবং সব এমপিকে বক্তব্যের ভিত্তিতে গ্রহণ করা উচিত।

তবে কনজারভেটিভ এমপিরা বলছেন, তারা মি. করবিনের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এবং তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন।

কমন্সে দেয়া বক্তব্যে মি. করবিন বলেছেন, ”আজ প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার সময় আমি তাদের কথাই বলছিলাম, যারা দেশের এই সংকট নিয়ে চলা একটি বিতর্ককে কৌতুকে পরিণত করতে চাইছে, তাদেরকেই আমি ‘স্টুপিড পিপল’ বলেছি। ”

”মি. স্পিকার, আমি প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে ‘স্টুপিড উইমেনের’ মতো শব্দ ব্যবহার করিনি” বলছেন মি: করবিন।

তবে তার এই বক্তব্যের জবাবে কনজারভেটিভ এমপি র‍্যাচেল ম্যাকলিন বলছেন, ”ঠোঁটের ভাষা পড়ে দেখুন, আমি তাকে (মি:করবিনকে) বিশ্বাস করি না। ”

অভিযোগটি ওঠার পর হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো বলেছেন, মি: করবিনের বিরুদ্ধে যে আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তিনি সেই ভিডিও পরীক্ষা করে দেখেছেন, যেখানে মাইক্রোফোনে কোনো শব্দ আসেনি এবং সেটা দেখে সহজেই বুঝতে পারা যায় যে, কেন বিরোধী নেতার শব্দকে ‘স্টুপিড ওম্যান’ হিসাবেও বর্ণনা করা যায়। ”

আদালতে যারা ঠোঁটের ভাষা অনুবাদের কাজ করেন, এমন একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছেন স্পিকার।

তাকে ওই ভিডিওটি দেখানো হয়েছে, তবে এখনো কোন উপসংহারে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
”কারো পক্ষেই শতভাগ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না, এমনকি পেশাদার ঠোঁটের ভাষা বিশেষজ্ঞদের পক্ষেও নয়। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই আমি একজন সম্মানিত সদস্যের বক্তব্যকেই গ্রহণ করবো, যা আসলে করা উচিত। ”

”এটাই হবে যৌক্তিক পদক্ষেপ যদিও হাউজও এমনটা করে” বলছেন মি: বারকো।

তিনি বলেছেন, মি: করবিন পুরো সময়ে বসেই ছিলেন এবং হাউজকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেননি, তাই তার বক্তব্য ‘অন রেকর্ড’ হিসাবে গ্রহণীয় হবে না।

এর আগের একটি ঘটনায় স্পিকার জন বারকোর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছিল যে, তিনি টোরি এমপি ভিকি ফোর্ডকে ‘স্টুপিড ওম্যান’ বলেছেন। ফলে সংসদ সদস্যরা স্পিকারের নিজের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

মি: বারকোকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে কমন্স এমপি অ্যান্ড্রিয়া লেডসোম বলেছেন যে, এ বছরের শুরুর দিকের ওই ঘটনার জন্য তিনি এখনো ক্ষমা চাননি। জবাবে স্পিকার বলেছেন, এর মধ্যেই ওই ঘটনা নিয়ে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।

মিজ লেডসোম বলছেন, মি: করবিনের বিবৃতির পর দর্শক এবং এমপিদের পক্ষে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে।

কিভাবে এই ঘটনার শুরু হয়েছিল?
টেরেসা মের বেক্সিট চুক্তি নিয়ে জেরেমি করবিনের সঙ্গে প্রথম সংঘাত শুরু হয় গত সপ্তাহ থেকে, যখন ভোটাভুটি পিছিয়ে দেয়াকে স্বার্থপর কৌশল বলে মন্তব্য করে মিসেস মে’কে ‘ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী’ বলে অভিহিত করেছিলেন জেরেমি করবিন।

এর পাল্টা আঘাত করতে গিয়ে মিসেস মে বলেন, তিনি (জেরেমি করবিন) তার প্রতিশ্রুত অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেননি এবং এরপরে যা করেছেন তাও অকার্যকর।

”আজি জানি এটা হচ্ছে কৌতুক-নাট্যের সময়….”এমপিদের তিনি বলেন, ”তিনি কি অনাস্থা ভোট আনবেন? ওহ, তিনি আনবেন” আবার পেছনের টোরি এমপিদের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ”ওহ না, তিনি আনবেন না। ”

তখন তিনি লেবার নেতার দিকে তাকিয়ে বলেন, ”আপনার পেছনে তাকিয়ে দেখুন, তারা আপনার কাজে মুগ্ধ নন এবং দেশের লোকজনও নয়। ”

এ সময় জেরেমি করবিনকে নিশ্বাস ফেলার সঙ্গে কিছু একটা বলতে দেখা যায়।

এই অভিযোগের বিষয়ে টোরি এমপি পল স্কুলি মিসেস মের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ”আমি মনে করি, হাউজের প্রত্যেক সদস্যের, বিশেষ করে যখন নারীদের ভোটাধিকারের শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে, তখন সবার নারীদের রাজনীতিতে আসাকে উৎসাহিত করা উচিত এবং যথাযথ ভাষা ব্যবহার করা উচিত। ”

প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বের পরেও এই বিতণ্ডা চলতে থাকে এবং বেশ কয়েকজন নারী কনজারভেটিভ এমপি তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাতে থাকেন।

সাবেক মন্ত্রী অ্যানা সুবরি স্পিকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ তুলে বলেন, যদি লেবার পার্টির কোন নারী এমপির বিরুদ্ধে কনজারভেটিভ পার্টির কোনো এমপি এরকম মন্তব্য করতেন, তাহলে মি: বারকো আরো দ্রুত ব্যবস্থা নিতেন।

প্রবীণ লেবার এমপি মার্গারেট বেকেট বলছেন, এই অভিযোগটি হচ্ছে দলীয় রাজনীতি।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক এমপি ভিরা হবহাউজ বলছেন, ”দেশের সব জায়গা থেকেই আজকের এই ঘটনাটি তরুণী মেয়েরা দেখেছে এবং এতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না, যদি এরপরে তাদের অনেকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে জেরেমি করবিনের অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত। ”

সূত্র: বিবিসি বাংলা

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com