রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
রোববার রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে ঢাকা মহানগর পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, বিট পুলিশিং ও গ্রেপ্তার মাদক ব্যবসায়ী থেকে প্রাপ্ত তথ্য কাজে লাগিয়ে মাদকসেবীদের তালিকা করতে হবে। এবং তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুনর্বাসনে সহাযোগিতা করা হবে। যে উদ্দেশ্য ও শক্তি নিয়ে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে নেমেছিলাম তা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, পথশিশুদের মাদকসেবনের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। ভবিষ্যতে বড় হয়ে ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কাজ করার সম্ভাবনা আছে তাদের। শিশুদের কাছে জুতার আঠা বা ড্যান্ডি বিক্রি না করার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করার নির্দেশ দেন তিনি।ঢাকা মহানগর এলাকায় জুলাই মাসে উদ্ধার করা মাদকের পরিমাণ, গ্রেপ্তার আসামি এবং এ সংক্রান্ত মামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
তিনি আরো বলেন, ডিএমপির মনিটরিং সেলের মাধ্যমে থানায় সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগোযোগ করে দেখা যাচ্ছে, থানায় মামলা ও জিডি গ্রহণের ক্ষেত্রে পুলিশের আচরণে জনসাধারণ সন্তুষ্ট হচ্ছেন। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এবং সেবার মান আরো বাড়াতে হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে সংঘটিত হত্যা, ডাকাতি ও ছিনতাই মামলার ডিটেকশনের পরিমাণ অনেক ভালো বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
অনুষ্ঠানে গত জুলাই মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পুলিশ কমিশনার। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ, ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে গুলশান ও উত্তরা বিভাগ। সন্তোষজনক কাজের জন্য ৩৭ জনকে ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।