রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কত টুকু। কালের খবর দেবিদ্বারে মাদক কারবারী দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর মানববন্ধন। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় জোন কমান্ডারস কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গুইমারা ইউনিয়ন একাদশ। কালের খবর বাংলাদেশের রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা ও তারেক রহমান। কালের খবর ‌‌সম্প্রীতি সমাবেশ। কালের খবর সড়ক ও জনপদের ৩য় শ্রেণির কর্মকর্তার সম্পদের পাহাড়। কালের খবর  পেশাদার সাংবাদিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে কাজ করছে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার : এম আব্দুল্লাহ। কালের খবর সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে শাহজাদপুরে মানববন্ধন। কালের খবর ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে হবে : ইউএনও মনজুর আলম। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান। কালের খবর
রাজধানীর কোতয়ালী থানার ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা : ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়

রাজধানীর কোতয়ালী থানার ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা : ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়

 রিপোর্ট

 ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর কোতয়ালী থানার ওসিসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন কোতোয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান, এসআই পবিত্র সরকার, খালেদ শেখ ও মো. শাহিনুর, কনস্টেবল মিজান এবং সোর্স মোতালেব।

জানতে চাইলে মামলার বাদী মো. সোহেল বলেন, ঈদের পরদিন ২ আগস্ট বিকালে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতয়ালী থানার ওয়াইজঘাট এলাকা দিয়ে বসুন্ধরা মেয়ের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। পথে পুলিশ আমাকে ঘেরাও করে তল্লাশি করে। তারা তল্লাশি করে কিছুই না পেয়ে পকেটে থাকা দুই হাজার ৯০০ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর আমাকে চলে যেতে বলে। আমি টাকা ফেরত চাইলে তারা আমাকে মারধর করে। এসব দেখে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। লোকজন কী হয়েছে জানতে চাইলে কনস্টেবল মিজান ও সোর্স মোতালেবের পকেট থেকে দুই প্যাকেট ইয়াবা দিয়ে বলে যে আমার কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। এরপর তারা (আসামিরা) আমাকে থানায় নিয়ে যায় এবং পরিবারের সদস্যদের খবর দিতে বলে। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেলে থানার ওসি পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। চাহিদামতো টাকা না দিলে আমাকে ক্রসফায়ার  দিবে বলে পরিবারকে হুমকি দেয়। ওই রাতেই পরিবারের সদস্যরা দুই লাখ টাকা এসআই পবিত্র সরকার, খালেদ শেখ ও মো. শাহিনুরের কাছে দেয়। এরপর ওসি বলে, বাকি টাকা সকালে দিতে। নইলে ক্রসফায়ারের ভয় দেখায়। ওসির টাকা চাওয়া সংক্রান্ত অডিও রেকর্ডও আমার (বাদী) কাছে সংরক্ষিত আছে। এরপর সকালে আরও দেড় লাখ টাকা তাদের দেয়া হয়।

টাকা দেয়ার পর সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে তিনি মাদক সেবন করছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করছিলেন। তার বিরুদ্ধে নন এফআইআর করে পুলিশ। আবার আসামিরাই তাকে জামিন করিয়ে আনেন। পরে সোহেল আদালতে এসে মামলাটি করেন। দণ্ডবিধি ৪২০/৪০৬/৫০৬/১০৯/৩৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৪৭ ধারাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(১)(ক)(খ) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com