বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন
কালের খবর: মনের মতো চাকরির খোঁজ সহজে মেলে না। সব কিছু ঠিকঠাক চললে হয়তো ইন্টারভিউয়ের চিঠি মিলবে। এদিকে আপনি ইতোমধ্যে চাকরির বিবরণ জেনে ও পড়ে দারুণ উত্তেজিত। এই চাকরিটাই আপনার দরকার। শেষ অবধি চাকরিটা মিলে গেলে কিন্তু নতুন চ্যালেঞ্জের মাত্র শুরু।
প্রথম দিন অফিসে কী পরে যাবেন বা সবার সঙ্গে কিভাবে কথা বলবেন, তাই হয়তো মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। অনেক স্মার্ট কর্মীই কিন্তু চাকরি খোঁজা থেকে শুরু করে নতুন কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার মাঝে বেশ কিছু ভুল করে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে যা কি না নির্বোধের মতো ভুল। এ ঝক্কি এড়িয়ে যেতে হবে। নয়তো ক্যারিয়ারে প্রথমেই হোঁচট খাবেন।
একটি মাত্র উৎসে চাকরি খোঁজা : বোকারাই এ কাজটি করে থাকেন। কেবল যদি ইন্টারনেটকে চাকরি খোঁজার একমাত্র মাধ্যম বলে মনে করেন, তো বড় ভুল করলেন। আবার পত্রিকার বিজ্ঞপ্তিও কিন্তু সব সুযোগের খবর দেবে না। তাই সবদিক থেকে চেষ্টা করতে হবে। পরিচিতদের বলতে হবে। বিভিন্ন অফিসে যারা চাকরি করছেন, তারাও কিন্তু খবরের বড় উৎস হতে পারেন। কিছুই বাদ দেওয়া যাবে না।
দায়িত্ব পালনে অতিমাত্রায় অস্থির থাকা : নতুন চাকরিতে উদ্যোমী হতে হবে। তাই বলে ইতিবাচক আর আগ্রাসী হওয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই দুয়ের মাঝে দেয়াল তোলার বিষয়টি প্রথমেই শিখে নিতে হবে। এই চাকরিটা হয়তো আপনার জীবনের সেরা অর্জন।
নতুন কর্মীর কাছে সুযোগের কথা বলা : ধরুন, আপনার কোনো সহকর্মী বা বন্ধু বড় প্রতিষ্ঠানে দারুণ এক চাকরি পেয়ে গেল। আর তা জানামাত্র আপনিও তাকে নিজের জন্য সুযোগ সৃষ্টির কথা বলে ফেললেন। এটা খুবই অস্বস্তিকর বিষয়। যে পরিচিত বা বন্ধু নতুন কম্পানিতে গেছেন, তাকে সময় দিন। তিনি সেখানকার পরিবেশ ও সুযোগ বুঝে হয়তো আপনার ব্যবস্থা করতে পারবেন। আবার আপনাকে ওই প্রতিষ্ঠানে ঢোকানোর জন্য চাপও দেওয়া যাবে না।
অস্বাভাবিক বেতন দাবি : ইন্টারভিউয়ের পর আপনাকে পছন্দ হলে আকাঙ্ক্ষিত চাকরির প্রস্তাব আসবে। সেখানে বেতন নিয়ে আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ থাকে। আর সেখানেই নির্বোধের মতো ভুল করে বসেন অনেকে। চাকরির বাজার সম্পর্কে ধারণা নিয়ে এ কাজে নামতে হবে। হয়তো আপনি অনেক বেশি যোগ্য। তাই বলে মনের মতো বেতন দাবি হিতে বিপরীত ঘটাবে।