শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৫:১৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ। কালের খবর খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু। কালের খবর অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার মানবিক ইউএনও মোঃ মাসুদ রানা। কালের খবর সীমান্তে পুশইন বন্ধে স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে কাজ করছে বিজিবি। লে. কর্নেল মো.খালিদ ইবনে হোসেন। কালের খবর রায়পুরায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ স্থগিত : পুনর্বহালের দাবি। কালের খবর প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে প্রেমিক উধাও, বাড়িঘর ভাঙচুর ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। কালের খবর জিসপ’র উদ্যোগে শহীদ জিয়ার ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। কালের খবর মাটিরাঙা সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশনে’র উদ্যোগে ৯ জুন ঈদ পূর্ণমিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কালের খবর খেলাপি ঋণের বোঝায় ঝুঁকিতে আর্থিক খাত। কালের খবর ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুরে জনমিতি পরিবর্তন করছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। কালের খবর
ভণ্ড ধর্মগুরু আসারাম – রিকশাওয়ালা থেকে কোটিপতি !

ভণ্ড ধর্মগুরু আসারাম – রিকশাওয়ালা থেকে কোটিপতি !

কালের খবর ডেস্ক :
ভারতে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারামকে বুধবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রাতারাতি কোটিপতি এই আসারাম একসময় আজমির শরিফে রিকশা চালাতেন বলে জানা গেছে।

কজানা গেছে, স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর জীবনের একটি অংশ কেটেছে আজমির শরিফ এলাকায়। সে সময় তিনি রিকশা চালাতেন।
তখন তার নাম ছিল আসুমাল সিন্ধি। আজমির শরিফের দরগায় পুণ্যার্থীদের রিকশা করে পৌঁছে দিতেন তিনি।

আসারাম সেখানে টানা দুই বছর রিকশা চালান। এখনো বহু পুরনো রিকশাচালক তার কথা মনে রেখেছেন। আজমির রিকশা ইউনিয়নের সদস্য পান্না ওস্তাদ বলেন, ধর্মগুরু হিসেবে খ্যাতি পাওয়ার পরই আমরা আসরামকে চিনতে পারি।

আসারামের জন্ম পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশে। আসারামের যখন সাত বছর বয়স, তখন তার পরিবার গুজরাটে চলে আসে।

১৯৬৩ সালে আসারাম বাপু আজমির চলে যান।
চিরঞ্জিৎ সিং ওবেরয় নামের এক প্রবীণ আইনজীবী জানান, আসুমালের বাবা পরিবার নিয়ে পরে আজমিরে চলে আসেন। সেখানে খারিকুইতে থাকতেন তারা।

জানা গেছে, পুণ্যার্থীদের দরগায় পৌঁছে দিতে দিতেই আধ্যাত্মিক বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন আসারাম। প্রথমে একটি ছোট আশ্রম দিয়ে ধর্ম ব্যবসা শুরু করেন তিনি। পরে তা ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। অনেক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে।

ধর্ম ব্যবসা করে পাওয়া বিপুল বিত্তবৈভব আসারামের মাথা খারাপ করে দেয়। প্রথমে নিজেকে ভগবানের দূত বলে দাবি করেন তিনি।
এক পর্যায়ে শিষ্যদের আধ্যাত্মিক শিক্ষা দেওয়ার নাম করে যৌন নিপীড়নে জড়িয়ে পড়েন। আসারাম তার নারী শিষ্যদের রাতের অন্ধকারে আশ্রমের নির্জন কক্ষে আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিতেন। ওই সময় তাদের ধর্ষণ করা হতো।

২০১৩ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে প্রেতাত্মার হাত থেকে বাঁচানোর নাম করে জোধপুরের মানাই গ্রামে নিজ আশ্রমে এনে ধর্ষণ করেন আসারাম। ওই কিশোরীর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। সে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারায় আসারামের আরেকটি আশ্রমে থেকে পড়াশোনা করত। তাকে প্রেতাত্মার হাত থেকে বাঁচানোর নাম করে সেখান থেকে জোধপুরের আশ্রমে ডেকে আনেন আসারাম।

ওই কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আসারামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া গুজরাটের সুরাটে দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আসারাম ও তার ছেলে নারায়ণ সাইয়ের বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর নারায়ণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রিকশাচালক থেকে হঠাৎ করে ধর্মগুরু হয়ে যাওয়া আসারামকে বিচারের মুখোমুখি করা মোটেই সহজ কাজ ছিল না। গত পাঁচ বছর ধরে তার বিরুদ্ধে দুটি ধর্ষণ মামলা চালাতে আদালত ও পুলিশকে বেগ পেতে হয়েছে। তার মামলার ৯ সাক্ষীর ওপরই একে একে হামলা হয়েছে। হামলায় তিন সাক্ষী নিহত হন। অবশেষে বুধবার রাজস্থানের জোধপুরের বিশেষ আদালত আসারামকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

           দৈনিক কালের খবর   – ৩০/৪/১৮:

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com