সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
নিজেস্ব প্রতিনিধি, কালের খবর :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ হাসিনা হলের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই হলের আয়া ও তার মেয়েকে যৌন হয়ারানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর বিচার চেয়ে হল প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী।
তিনি ও তার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক প্রস্তাবসহ সুযোগ পেয়ে মেয়ের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক শেখ হাসিনা হলের সহকারী রেজিস্ট্রার। ভুক্তভোগী নারী অভিযুক্তের অফিসে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে আয়ার কাজ করেন।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর ২০১৪ সাল থেকে শেখ হাসিনা হলে দুই মেয়েকে নিয়ে কাজ করছিলেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক তাকে কুপ্রস্তাবসহ তার মেয়েদের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করার জন্য বাড়িতে আসার প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি ভুক্তভোগীকে কাজ থেকে বের করে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় স্টাফদের কথায় কথায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন রাজ্জাক। ২০২১ সালে নারীর ছোট মেয়েকে হলে একা পেয়ে রাজ্জাক তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মেয়ে কৌশলে পালিয়ে এসে তার মাকে বিষয়টি জানায়। তবে অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ না করে বিষয়টি গোপন রাখেন ওই নারী। এ ঘটনার পর থেকে মেয়েদের নিয়ে কুষ্টিয়া শহরে থাকা শুরু করেন তিনি।
সর্বশেষ গত ১১ ডিসেম্বর দুপুরে হলে কাজ করার সময় তাকে অবৈধ মেলামেশা করার প্রস্তাব দেন আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় কৌশলে তার কবল থেকে বেরিয়ে আসেন ভুক্তভোগী আয়া। পরে তিনি বিষয়টি তার পরিচিত শিক্ষার্থীদের জানান।
ভুক্তভোগী আয়া বলেন, হলে কাজ করার সময় সুযোগ পেলেই সে আমাকে ও আমার মেয়েদের সঙ্গে সব সময় যৌন আচরণ করে ও কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। আমি মেয়েদের নিয়ে অস্বস্তিকর অবস্থায় আছি। আমি তার বিচার চাই।
অভিযোগ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি একসময় জাসদ ছাত্রলীগ করতাম। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কেউ এটা করে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ কে এম শামছুল হক ছিদ্দিকীর সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।