সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৩ অপরাহ্ন
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ থেকে ২টি চোরাই মটরসাইকেল সহ চারজন চোরাকারবারি দলের সদস্য কে আটক করেছে পুলিশ। গত ১০ মে মঙ্গলবার সকালে এ অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটনের গোয়েন্দা শাখা। সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকা থেকে বিভিন্ন সময় চুরি হওয়া ৮২ টি মোটরসাইকেল উদ্ধারের জন্য ডিবি-ডিএমপির মিরপুর টিম প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে গত ১০ মে মঙ্গলবার সকালে
মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্য কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার মাতু মিয়ার বাড়ির মোড় নামক স্থান থেকে এবং অপর একজন কে একই উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি বাজার থেকে আটক করেন। আটককৃতরা হলেন, নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ
ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামের আবু সাঈদ মিয়ার ছেলে তানভীর (২৭), খলিল মিয়ার ছেলে আশিক (৩০), মুর্শিদ মিয়ার ছেলে সমির (২৫), আউয়াল মিয়ার ছেলে সাদ্দাম (৩২)। এসময় তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মোট ৬ টি মোটরসাইকেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করেন এরমধ্যে নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি এস এম
বাদলের নিজ বাড়ি বাড়াইল থেকে ২ টি চোরাই মোটরসাইকেল
উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় আটক হওয়া নবীনগর উপজেলার বাড়াইল
গ্রামের আউয়াল মিয়ার ছেলে সাদ্দামের উক্ত ঘটনায় সম্পৃক্ততা না
থাকায় আটকের একদিন পর তাকে পাশ্বর্তী মুরাদনগর থানা থেকে
ছেড়ে দেয়া হয়।
এবিষয়ে সরজমিনে সাদ্দামের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার
বড় ভাই শেখ সাদির সাথে কথা বললে তিনি জানায়, আমার ছোট
ভাই গাড়ির কাজ করার কারনে তাদের সাথে পরিচয় হয়। ঘটনার দিন
সকালে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল চোর চক্রের একজন সদস্য তাদের
ফোন করে জানান তোমাদের গাড়ি(চোরাই মোটরসাইকেল)
এসেছে। গাড়ি গুলো বাঞ্ছারামপুর ফেরিঘাট থেকে এসে নিয়ে
যাওয়ার জন্য বলা হয়। পরে আমারা ভাই সহ বাকী ৩ জন ফেরিঘাটের
দিকে রওনা হয়। পথে আমার ছোটভাই সাদ্দামের গাড়ি ঠিক করার
জরুরি কাজ পরে যাওয়ায় সে ছয়ফুল্লাকান্দি বাজারে নেমে পরে।
বাকীরা ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছা মাত্র পুলিশ তাদের আটক করে
ফেলে। এসময় তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমার ভাইকেও আটক করা
হয়। পরে তাদের ৪ জন সহ ঢাকা থেকে আটক করে নিয়ে আসা ২ জন
কে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৬ টি
গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশ সদস্যরা আমার ভাইকে
প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞেসা করার পর ঘটনায় সম্পৃক্ততা না থাকায়প্রথমে নবীনগর থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর পাশ্বর্তী
মুরাদনগর থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে সলিমগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি এস এম বাদল কে তার
বাড়ি থেকে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার হওয়া বিষয়ে জানতে
চাইলে তিনি জানান, পুলিশের নিয়ে যাওয়া দুইটি
মোটরসাইকেল তারা চোর চক্রের সদস্য আশিক ও সমিরের কাছ
থেকে আমার ছেলে ও ছোট ভাই স্ট্যামের মাধ্যমে লিখিত নিয়ে ক্রয়
করেছেন। এটি চোরাই মোটর সাইকেল সে বিষয়ে তার জানা
ছিলো না। এ চোরির ঘটনায় আমরা কাউকে জড়িত না।
নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশিদ জানান, গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা শাখা থেকে একটি টিম
এসে নবীনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অমরা শুনেছি তবে এবিষয়ে আমাদের কাছে সরাসরি কোন তথ্য
প্রদান করা হয় নাই।