বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর বিশেষ মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান। কালের খবর কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে যুবদল নেতার নেতৃত্বে ২ কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ। কালের খবর গুমতি‌ বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব২০২৫ এসো‌‌ দেশ বদলাই,পৃথিবী বদলাই। কালের খবর মানিকছড়িতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক। কালের খবর নবীনগরে চাঞ্চল্যকর ভাই হত্যা মামলার আসামী ১২ বছর পর এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার। কালের খবর অর্থ পাচার রোধ ও স্থিতিশীল রাষ্ট্রকাঠামো বির্নিমানে দ্বৈত নাগরিকত্বের ব্যাপারে সিদ্বান্ত জরুরী। কালের খবর রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। কালের খবর ময়নামতি উপজেলা’ বাস্তবায়নে লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত। কালের খবর বিজয় মেলা দে‌খে বা‌ড়ি ফেরা হ‌লো না কলেজ ছা‌ত্র সাহ্লাপ্রু মারমা। কালের খবর মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ভুমিকা রাখবে বাঁশরী ওয়াদুদ ফুটবল টুর্নামেন্ট : ওয়াদুদ ভূইয়া। কালের খবর
সিরাজগঞ্জে ক্ষীরার বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি। কালের খবর

সিরাজগঞ্জে ক্ষীরার বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি। কালের খবর

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার তাড়াশে এবার ক্ষীরার ফলন হয়েছে আশাতীত। আর এ অঞ্চলের ক্ষীরার চাহিদা রয়েছে সারাদেশেই। এদিকে ক্ষীরার দাম ভাল পাওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। হাসি কৃষকের মুখে। জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় সাড়ে ৪২৭ হেক্টর জমিতে ক্ষীরা চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৭৫ হেক্টর বেশি। ক্ষীরাকে কেন্দ্র করে তাড়াশ উপজেলার দিঘরীয়া গ্রামে গড়ে উঠেছে ক্ষীরার মৌসুমি হাট। এ হাটে প্রতিদিন ঢাকা, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে ক্ষীরা ক্রয় করেন। কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, এ বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে ক্ষিরার চাষ করেছি। ৩ বিঘা জমিতে ক্ষিরা চাষ করতে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন অনেক ভাল হয়েছে। বাজার দর ভাল থাকলে খরচ বাদে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হবে। উপজেলার দিঘরীয়া গ্রামে কৃষক মজনু জানান, ধান চাষের পাশাপাশি এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে ক্ষিরা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ মণ করে ক্ষীরার ফলন হবে। বর্তমান বাজারে প্রতি বস্তা ক্ষিরা ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার দর এ রকম থাকলে আড়াই বিঘা জমিতে ৩৮ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ হবে। চলনবিলের তাড়াশের দিঘুরীয়া, রানীর হাট ও কোহিতসহ ১৫টি গ্রামে গড়ে উঠেছে ক্ষীরা বিক্রির অস্থায়ী আড়ত। উপজেলার কোহিত, সাচানদিঘি, সান্দুরিয়া, সড়াবাড়ি, বারুহাস, দিঘুরীয়া, দিয়ারপাড়া, তালম সাতপাড়া, নামো সিলট, খাসপাড়া, বড় পওতা, তেঁতুলিয়া, ক্ষীরপোতা, খোসালপুর, বরগ্রাম, বিয়াস আয়সে ও পিপুলসোন গ্রামের মাঠের পর মাঠ ক্ষীরার আবাদ হয়েছে। অনেক কৃষক লাভের আশায় নিজের জমি না থাকায় জমি লিজ নিয়ে ক্ষীরার আবাদ করেন। আর ওই ক্ষীরার বিক্রিকে কেন্দ্র করে উপজেলার দিঘুরীয়া এলাকায় বসেছে বড় ক্ষীরার আড়ত। এ আড়তে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা ক্ষীরা বিক্রি করার জন্য এ আড়তে ভিড় করেছেন। এদিকে আড়ত থেকে বিভিন্ন জেলার পাইকাররা ট্রাকে করে ক্ষীরা কিনতে আসেন। এলাকার ক্ষীরা সাধারণত ঢাকা, রাজশাহী, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়। প্রতিদিন শত শত মেট্রিক টন ক্ষীরা বেচা-কেনা হচ্ছে। তাড়াশে উৎপাদিত ক্ষীরা যাচ্ছে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায়। এ আড়ৎ থেকে প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫০ মে. টন ক্ষীরা যাচ্ছে শুধু রাজধানী ঢাকায়। তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহান লুনা বলেন, উপজেলার ফসলী জমিতে ক্ষিরা চাষ খুব ভালো হয়। কৃষি অফিসের লোকজন সার্বক্ষণিক কৃষকদেরকে ক্ষীরা চাষে উৎসাহ ও পরার্মশ দিয়ে সহযোগীতা করে আসছেন। ক্ষীরা চাষে কৃষকরা অন্যান্য কৃষি দ্রব্যের তুলনায় ভাল লাভবান হতে পারেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com