বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
খাগড়াছড়িতে ৮ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। কালের খবর জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাভাপতি নির্বাচিত হলেন নাসিক ২নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। কালের খবর নবীনগরে সাংবাদিকদের সাথে জেলা বিএনপির আহবায়কের মতবিনিময়। কালের খবর বিদ্যুৎ খাতের দুর্বৃত্তদের বিচার করতে হবে। কালের খবর শতকোটি টাকার সাম্রাজ্য পটিয়ার নবাব ও মহব্বতের। কালের খবর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী। কালের খবর মাদারীপুরের শিবচর সার্কেলের “সহকারী পুলিশ সুপারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত। কালের খবর পাসপোর্টের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ। কালের খবর আশুলিয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন। কালের খবর মাদারীপুরের নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মত বিনিময় সভা। কালের খবর
যশোর সদর ইউপি নির্বাচনে থেকেই গেলো আ.লীগে  বিদ্রোহী প্রার্থী। কালের খবর

যশোর সদর ইউপি নির্বাচনে থেকেই গেলো আ.লীগে  বিদ্রোহী প্রার্থী। কালের খবর

আবেদ হোসাইন, যশোর সিটি প্রতিনিধি, কালের খবর :
আগামী ৫ জানুয়ারির ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যশোর সদর ও কেশবপুর উপজেলার ২৬ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনো ভাবেই বন্ধ হলো না আওয়ামী লীগের বিদ্রোহ। ইউনিয়নে ইউনিয়নে বিদ্রোহ রয়েছে আওয়ামী লীগে। শেষ পর্যন্ত অন্যান্য দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি দলের নেতাকর্মী-সমর্থকদের সাথে লড়াই করতেই হচ্ছে নৌকার প্রার্থীকে। স্বতন্ত্রের নামে আওয়ামী লীগের এসব প্রার্থী নৌকার জন্য ক্ষতির কারণ হবে কিনা তা নিয়ে কমবেশি আশঙ্কা রয়েছে। তারপরও নৌকার প্রার্থীদের আশার বাণী হচ্ছে, ‘ভোটাররা নৌকাকেই বেছে নিবে।’
সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদর উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পাশাপাশি দলের ৩৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রত্যাহার করলেও এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের রয়েছে মাত্র সাতজন।
দেশে পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আগামী ৫ জানুয়ারি ভোট হবে যশোর সদর উপজেলার ১৫টি ইউপিতে। চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। জেলা সদরের সব ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে দলটির। কোনো কোনো ইউপিতে দলে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা চার থেকে পাঁচজন।
এমন পরিস্থিতিতে সদরের ১৫টি ইউপিতে নৌকার প্রার্থীদের নিজ দলেরই ৩৯ বিদ্রোহী প্রার্থীর মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে।
জেলার হৈবতপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে আবু সিদ্দিককে। তবে এখানে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু বক্কার গাজী, দলের কর্মী হরেণ কুমার বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নেতা আহম্মদ আলী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোমিনুর রহমান। ভোটে জিততে অন্য প্রার্থীর পাশাপাশি দলের এসব নেতাদের সঙ্গেও লড়তে হবে আবু সিদ্দিককে।
লেবুতলা ইউপিতে নৌকা পেয়েছেন আলীমুজ্জামান মিলন। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগেরই শহিদুল ইসলাম।
ইছালীতে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ফেরদৌসী ইয়াসমিন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়ুব হোসেন।
নওয়াপাড়ায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন রাজিয়া সুলতানা। এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর তুহিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য কাজী আলমগীর হোসেন,
উপশহরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন এহসানুর রহমান লিটু। এই ইউনিয়নে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন রত্ন।
কাশিমপুরে আওয়ামী লীগের নৌকা পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। এই ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহেদী খালিদ হোসাইন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম সাইফুল দলের বিদ্রোহী হয়েছেন।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দাউদ হোসেন। তার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান মুন্না, প্রজন্ম লীগ নেতা আলমগীর কবির, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও শ্রমিক লীগ নেতা মোহাম্মদ বাদশা।
চাঁচড়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিম রেজা পান্নু। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আব্দুল আজিজের ছেলে শামীম রেজা ও তাঁতি লীগের সাবেক নেতা ফারুখ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
বসুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল। এই ইউনিয়নে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আজিজুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিত কুমার নাথ জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘যারা দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হিসেবে দাঁড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজীবন বহিষ্কার করা হবে।’

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com