জানা গেছে, এলাকাবাসীকে ফাঁকি দিয়ে সম্প্রতি ওই মসজিদের ৭.৬ শতাংশ স্থান কৌশলে নিজের নামে সাব-কবলা রেজিস্ট্রি করেছেন মসজিদটির প্রস্তাবিত মোতোয়াল্লী মো: নাসির উদ্দিন। এর প্রতিবাদ জানাতেই মানববন্ধন করেছেন মুসল্লি ও এলাকাবাসী।
মানবন্ধনে উপস্থিত মুসল্লিরা সরকার ও দেশবাসীর কাছে অনতিবিলম্বে মসজিদের আত্মসাৎ করা জায়গা প্রতারক নাসিরের কাছ থেকে উদ্ধার করে ওয়াক্ফ করার দাবি জানান।
মসজিদটির সভাপতি মো: নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: মঞ্জুর রশীদের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী পরিষদের সাবেক উপসচিব আব্দুস সামাদ তালুকদার, বিজেএমসির ডেপুটি ম্যানেজার মো: আলতাফ হোসেন, জনতা ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো: মনিরুজ্জামান ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম মজুমদার, রাজস্ব কর্মকর্তা মো: শাহজাহান কবির, জীবন বীমা করপোরেশনের ডেপুটি ম্যানেজার মো: আলী হোসেন, শেলটেক-এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রবিউল আউয়াল, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রবসহ এলাকার বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ ও সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।
মানবন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এলাকাবাসীর অনুদানে মসজিদটির বায়না হয় বিগত ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই মসজিদের পক্ষে নাসির উদ্দিনের নামে। নানা সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা দূর করে ৯.৫ শতাংশ জায়গার মধ্যে মসজিদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় বিগত ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে।
এদিকে বায়নার সময় প্রতারক নাসির উদ্দিনের অনুরোধে এলাকাবাসী তাকে মসজিদের মোতোয়াল্লী করতে রাজি হন। এ সুযোগে তিনি গত ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মসজিদের ৭.৬ শতাংশ জায়গা ওয়াক্ফ করার বদলে নিজের নামে সাব-কবলা দলিল করে নেন।