জানা যায়, যশোর শহরসহ আটটি উপজেলার ধোনকারদের জাজিম, বালিশ, লেপ, তোষক তৈরিতে দম ফেলানোর ফুসরত নেই। দোকান মালিক ও শ্রমিকরা শীতে তাদের তৈরিকৃত সামগ্রী দিয়ে দোকান সাজাতে ব্যস্ত। সেলাইয়ের কাজ ও তুলো ধুনার দিকে নজর রাখছে। তৈরি করছে শীতে আরামদায়ক লেপ-তোষকসহ অন্যান্য সামগ্রী। বেশি শীত পড়ার আগেই ক্রেতারা লেপ তোষকের দোকানগুলোতে আগে থেকে পছন্দমত লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন। ধুনকাররা ভালো মুনাফার জন্য ও বেশি বিক্রি করার আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করে দোকানগুলো সাজিয়ে রাখছেন। এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের তুলনায় এবার বেচাবিক্রি কম হওয়ার আশঙ্কা করছে বিক্রেতারা।
যশোর গরীবশাহ্ রোডে মুন বেডিং হাউসের সত্ত্বাধিকারী মোস্তাক আহমেদ বলেন, শীত মৌসুমে লেপ, তোষক, জাজিম, কোল-বালিশ তৈরি শুরু করেছি। ব্যবসা এখনও তেমন জমে উঠেনি। তবে শীত আরো একটু বাড়লে বিক্রি বাড়তে পারে। এছাড়াও করোনাভাইরাসের প্রভাব অর্থনীতির উপর পড়েছে। এজন্য এবারের ব্যবসা অন্য বছরের তুলনায় কম হওয়ার আশঙ্কা আছে।’
যশোরে রেল রোড এলাকার মেসার্স আলিফা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী নোমান বলেন , এবার তুলা ও কাপড়ের মান ভেদে সর্বনিম্ন ৭০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৬০০ টাকা পর্যন্ত লেপের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও লেপের কভারের মধ্যে মার্কিন, মকমল ৩৫০ টাকা ও লং ক্লথ কভার বিক্রি করা হচ্ছে ৪৮০ টাকা দরে।’
ধর্মতলা কারবালা রোডে মনজু বেডিংয়ের কর্মচারী রইচ শেখ বলেন, শীত পড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিন একটা-দুইটা করে ক্রেতা আসছে। অনেক ক্রেতা রেডিমেট লেপ-তোষক কিনে নিয়ে যাচ্ছে।’ এই দোকানে কথা হয় সুজলপুর এলাকার লেপ-তোষক বানাতে আসা সাহাঙ্গীর আলমের সাথে। তিনি বলেন, শীত পড়তে শুরু করেছে। বেশি শীত পড়ার আগেই নতুন লেপ-তোষক তৈরি করে নিচ্ছি।