বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার আত্মহত্যা। কালের খবর রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি শুন্য গড়াই , নলকূপ উঠছে না পানি। কালের খবর প্রচন্ড তাপদাহে ফসলের মাঠে মেঘনার কৃষাণীরা! কালের খবর প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ, অনেকটাই ফাঁকা ঢাকার রাজপথ
আমতলীতে একটি ব্রিজের জন্য চরম দুর্ভোগে ৫০ হাজার মানুষ। কালের খবর

আমতলীতে একটি ব্রিজের জন্য চরম দুর্ভোগে ৫০ হাজার মানুষ। কালের খবর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আমতলী, বরগুনা, কালের খবর  : ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার এক বছরেও সংস্কার হয়নি চাওড়া নদীর ওপর নির্মিত আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজ। এতে দুর্ভোগে পরেছে তিন ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবী এলাকাবাসীর।

জানাগেছে, ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চাওড়া নদীতে আমড়াগাছিয়া বাজারের সংলগ্ন স্থানে আয়রণ ব্রিজ নির্মাণ করে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় ব্রিজটি নড়বড়ে ছিল। নির্মাণের ১০ বছরের মাথায় ২০১৬ সালে ব্রিজটির মাঝখানের অংশ ভেঙ্গে পড়ে। তাৎক্ষনিক ওই ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ মেরামত করে। মেরামত করার পরে ওই ব্রিজ দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু প্রকৌশল বিভাগের নিষেধ উপক্ষো করে ট্রাক ও ট্রলির মালিকরা ওই ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এতে ব্রীজ আরো নড়বড়ে হয়ে পড়ে। গত বছর ১০ জুন ইট বোঝাই ট্রলি পারাপারের সময় ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পরে তিন ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। ওই ব্রিজ পার হয়ে আমড়াগাছিয়া বাজার, গোজখালী বাজার, গুলিশাখালী বাজার, কলাগাছিয়া বাজার ও আমতলী উপজেলা শহরে কৃষি পন্য আনা নেয়া ও মানুষ যাতায়াত করতে হয়। ব্রিজটি ভেঙ্গে পরায় গুলিশাখালী, কুকুয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কৃষি পণ্য আনা নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ৮ কিলোমিটার পথ ঘুরে খেকুয়ানী ও গোজখালী ব্রিজ পার হয়ে মানুষ ও কৃষি পন্য নিয়ে উপজেল শহরে যেতে হয়। গত এক বছর ধরে ওই ব্রীজে স্থানীয়রা বাঁশের সাকো দিয়ে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। দ্রুত ওইস্থানে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আমড়াগাছিয়া বাজারের ব্যবসায়ী বাদল সরদার বলেন, গত পাঁচ বছরে ব্রিজটি দুইবার ভেঙ্গে পরেছে। ভাঙ্গা ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছি। তিনি আরো বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে পরায় কৃষি পন্য বাজারে আসতে সমস্যা হচ্ছে।

গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে। ওই স্থানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেছি।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আল মামুন বলেন, ওইখানে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় পাঠানো আছে। অনুমোদন হলে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com