রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সোনামসজিদ সীমান্তে বিদেশী পিস্তল-গুলিসহ যুবক আটক। কালের খবর বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠন সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর সুন্দরগঞ্জে মীরগঞ্জ শাখার জনতা ব্যাংক অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদে দোকান মালিক,গ্রাহকদের মানববন্ধন। কালের খবর মিশনে যাওয়া হলনা সেনা সদস্য সাইফুর রহমানের। কালের খবর প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি,কিশোরগঞ্জে সেই বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা তাড়াশে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আবদুস সালাম বি.এস.সি। কালের খবর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মৎস্যজীবীদের সভাপতি শাহ আলম সাউদের উদ্যোগে ২০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত। কালের খবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির, প্রতিবাদে সুন্দরগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ। কালের খবর শিগগিরই সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে : গয়েশ্বর চন্দ্র রায় । কালের খবর
জীবন অগাধ : আলাউদ্দিন খাঁর বড় ছেলে। কালের খবর

জীবন অগাধ : আলাউদ্দিন খাঁর বড় ছেলে। কালের খবর

উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ খুব রাগী—নানাজনের কাছে শুনে বালক রবিশঙ্করের এ রকমই একটা ধারণা ছিল। ১৯৩৪ সালে উস্তাদকে রবি প্রথম দেখেন সেনেট হলে। এরপর ১৯৩৫ সালে আলাউদ্দিন খাঁ যখন রবিশঙ্করের বড় ভাই উদয় শঙ্করের ট্রুপে  যোগ দেন, তখন থেকেই রবিশঙ্কর আলাউদ্দিন খাঁর সংস্পর্শে আসতে শুরু করেন।  এই দুই মনীষীর বিশাল সাংস্কৃতিক জগৎ নিয়ে আমরা এখানে আজ কথা বলব না। আমরা বলব  এমন এক গল্প, যা বরিশঙ্করের স্মৃতিতে অমলিন হয়ে ছিল।

আলাউদ্দিন খাঁ ছিলেন খুব বিনয়ী। নরম একটা মন ছিল তাঁর বুকের ভেতরে। কিন্তু খেপে গেলে তাঁর শরীর দিয়ে রাগ ঠিকরে বের হতো। চুল-দাঁড়ি সব খাড়া হয়ে যেত বাঘ বা বিড়ালের মতো! সেই গল্প এখানে নয়।

রবিশঙ্করের মা হেমাঙ্গিনী শঙ্করকে খুব শ্রদ্ধা করতেন আলাউদ্দিন খাঁ। উদয় শঙ্করের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে হেমাঙ্গিনীকে তিনি বলতেন, ‘মা, আপনি তো রত্নগর্ভা! উদয় শঙ্করের মতো সোনার ছেলে আপনার!’

যখন বিলেতের পথে রওনা হবে উদয়  শঙ্করের নাচের ট্রুপ, তখন কাশী থেকে হেমাঙ্গিনী এসেছিলেন কটা দিন ছেলেদের সঙ্গে সময় কাটাতে। রবিশঙ্করের জীবনে সেটাই ছিল মায়ের শেষ সঙ্গ পাওয়া।

ডকে যখন রবিশঙ্কর মাকে প্রণাম করলেন, তখন ছেলেকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠলেন হেমাঙ্গিনী। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আলাউদ্দিন খাঁর হাতে রবিশঙ্করের হাতটি দিয়ে হেমাঙ্গিনী বললেন, ‘আমার এই ছেলেটাকে দেখবেন। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছেন। এখন থেকে আপনিই ওর বাবা। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করে দেবেন।
আলাউদ্দিন খাঁ বললেন, ‘মা, আপনি তো রত্নগর্ভা, আমি তো ম্লেচ্ছ। আর আপনার ছেলে আজ থেকে আমার ছেলে। আমার তো এক ছেলে আছে। ও এখন থেকে আমার বড় ছেলে হবে।’

এ কথা বলে হেমাঙ্গিনীর পাশে আলাউদ্দিন খাঁ কাঁদতে লাগলেন। আর এই ভারাক্রান্ত পরিবেশকে আরও বিষাদগ্রস্ত করে তুললেন স্বয়ং বালক রবিশঙ্কর। দুজনের সঙ্গে যোগ হলো তাঁর চোখের জলও।

সূত্র: রবিশঙ্কর, রাগ অনুরাগ
পৃষ্ঠা ১৪১-১৪২

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com