শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
নবীগঞ্জ থেকে শাহরিয়ার আহমেদ শাওন, কালের খবর : শাহরিয়ার আহমেদ শাওনঃ নবীগঞ্জে শুরু হয়েছে শাখা বরাক নদীর তীর্রবতী জায়গা দখল মক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয় অভিযান।
অভিযান পরিচালনা করেন হবিগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুসিকান্ত হাজং, পানিউন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকোশলী এম এল সৈকত, বিভাগীয় প্রকোশলী মিনহাজ আহমদ শোভন, সহকারী নির্বাহী কমিশনার ভূমি সুমাইয়া মমিন।এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব ছাব্বির আহমেদ চৌধুরী, পৌরসভার সার্ভেয়ার সহ আইনশৃঙ্খলা বাহীনি।
নদী সচল ও প্রবাহমান রাখতে শাখা বরাক নদীর দখলকৃত সীমানা নিধার্রনের কাজ শেষ করে জেলা প্রশাসন।
দীর্ঘদিন ধরে দখলদারদের উদরে থাকা পূরাতন শাখা বরাক নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান একটানা চলবে বলে জানান প্রশাসনের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগন।
নবীগঞ্জ হাট,শিবপাশা ও রিফাতপুর মৌজার অর্ন্তগত শাখা বরাক নদীর তীর্রবতী চরগাও ব্রীজ হতে রিফাতপুর বরাক নগর এলাকার বসবাসকারীদের সরকারী ভূমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বসত ভিটি দোকানপাট তালিকা অনুযায়ী চিহ্নিত ১০১ টি স্থাপনা ধারাবাহিক ভাবে উচ্ছেদ করা হবে।
এব্যপারে নবীগঞ্জ নির্বাহী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন বলেন, অবৈধভাবে নদী দখল উচ্ছেদ অভিযান একটি চলমান প্রকৃিয়া এটি অব্যাহত থাকবে।মাপযোগে সার্ভেয়াররা অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন এমন তথ্য রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সুমাইয়া মমিন বলেন অবৈধ স্থাপনা মাপযোগের সময় যারা আপত্তি করেছেন তারা আবেদন করেছেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আমি নিজে এসে অনেক জায়গায় আবার মাপযোগ করেছি। কোন অনিয়ম আমরা পায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকতা বলেন,শাখা বরাক নদীর ২০ কিলোমিটার জায়গা খনন হবে। শুধু শাখা বরাকওই নয় আরো যেকানে নদী আছে নদীর উপর গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা আমরা অপসারন করব। ৪৫ টি নদীর তালিকা করেছি সে অনিযায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পাশাপাশি খনন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কৃতপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।