শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
কালের খবর প্রতিবেদক : স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে পেতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করেছেন রুমা নামের এক নারী কুষ্টিয়ার′ মিরপুর উপজেলার সাতগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, মিরপুর উপজেলার সাতগাছি গ্রামের আশরাফুল হক নিজেকে অবিবাহিত দাবী করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কুষ্টিয়া কালিশংকরপুর এলাকার রুমা আক্তারের সাথে।
রুমা জানান, মিরপুর উপজেলার সাতগাছি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আশরাফুল হকের সাথে গত বছরের ২৪শে নভেম্বর মুসলিম পারিবারিক আইনে বিবাহ করি। এর কিছুদিন পর আমি জানতে পারি আশরাফুল বিবাহিত এবং এক সন্তানের বাবা। আমি সবকিছু মেনে নিয়ে তার সাথে সংসার করতে চাই। এসময় “আমি মরলে স্বামীর বাড়িতেই মরবো” বলে সাংবাদিকদের বলেন অনশনরত রুমা।
রুমা কান্না জড়িত কন্ঠে বলে, আমি স্বামীর অধিকার চাই। আমি এসেছি, এখান থেকে বের হলে আমার লাশ বের হবে। এখানে আশার পর আমাকে জানানো হয় আমাকে নাকি আশরাফুল কোর্ট থেকে তালাক দিয়েছে। আশরাফুল আমার কাছ থেকে আমার জমানো ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। সেটাও আশরাফুল এখন অশ্বীকার করছে। আজ আমাকে থানায় নিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সেখানেও কোন মিমাংসা হয়নি। আমি টাকা চায় না, আমি স্ত্রীর অধিকার চাই।
নিকাহনামা সূত্রে জানা যায়, বিয়েতে সাক্ষী হয় সদর উপজেলার কবুরহাট এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম ও মিরপুর উপজেলার মোশারফপুর গ্রামের মৃত পলান মন্ডলের ছেলে শুকচাঁদ মন্ডল। বিয়েতে কৌশলে দেন মোহর করে ১০ হাজার টাকা। নিকাহনামা’র ২১ নাম্বারে উল্লেখ রয়েছে বরের কোন স্ত্রী নাই।
আশরাফুল জানান, আমি জানতাম না রুমা স্বামী পরিত্যক্ত। জানার পর আমি কোর্টে গিয়ে তালাক দিয়ে এসেছি। দুপুর ১টার দিকে আমার বাড়িতে আসে রুমা। আশরাফুলের চাচা জানান, বুধবার থানায় বসে আমরা ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মিমাংসা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ওই মেয়ে এতে রাজি হয়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত সঞ্জয় জানান, মেয়েটি থানাতে এসে অভিযোগ করে যে তার স্বামী সংসারের কোন খরচ বহন করছে না। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আমি দুই পক্ষকে ডাকি। কিন্তু পরে দুই পক্ষ কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে চলে যায়।