শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন
।।।।।।।।।।।।।।।। কবিতা।।।।।।।।।।।।।।
প্রিয় সুর
কেমন আছ?,
তোমাকে খুব লিখতে ইচ্ছে করে। তোমার কেমন ইচ্ছে আমি সেটা জানি না।
তোমার দেওয়া সুগন্ধি আজ মেখেছি চুলে।
সাথে নিঃশ্বাস নিয়েছি প্রাণ খুলে।
কখনো ইচ্ছে করে সেই সুগন্ধিটা রেখে দিতে সখের রুমালে, কখনো কাজলে না হয় চাঁদের গালে।
তুমি কি সত্যি গান কর নাকি সুরে সুরে ইশারা কর আমায়?
কেন গান কর তুমি?
যখন তোমার সুরে আমার অনুভূতি গুলো ভাসে
বিশ্বাস কর পুরো সমুদ্র আমার কাছে চলে আসে।
তুমি জান,একটি ফুলের পাপড়ি যখন সমুদ্র জলে ফেলে দেওয়া হয়, সেটা কতদূর পর্যন্ত ভেসে ভেসে?
তোমার সুর আমার হৃদয় সাগরে একবিন্দু হয়ে পড়ে, কিন্তু সেটার গন্তব্য আমি নিজে ও জানি না।
আজ তোমার সুগন্ধি টা বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছি, কেন জান?
বাগান বিলাসের ফুলগুলো তোমার স্পর্শ চেয়েছিলো।
বিশ্বাস না হয় তুমি পরখ করে দেখো,ওরা অল্প সময়ের জন্য তোমার ঠোঁটে কথা বলেছিল।
আমি জানি না সে ঠোঁটের পরশ কেমন।
নিমিষেই হাওয়ায় তার রং বদলে যায় যেমন।
আমার কল্পনার রেখাগুলো তোমার সরলরেখায় অংকিত।
যদি আমার কল্পনার রেখাগুলো
তোমার স্পর্শের স্কেলে আঁকতে পারতাম তো ভালবাসার মানচিত্রে শুধু আমারা দুজনেই থাকতাম।
তুমি প্রাতঃকালে কখনো শিশিরে হেঁটেছো?
কখনো যদি তোমায় খেতে বেশি মনে পড়ে তো কাঁদিনি আমি।
শিশিরে প্রাতঃ স্থান করেছি।
যদি কোন এক বিকেলে তোমায় বেশি মনে পড়ে, আমি হলদে আলোয় দাড়িয়ে মনের ভাবনা গুলোকে হলদে রঙে সাজাই।
কখনো কখনো দূরে খুব হট্টগোল শুনতে পেয়ে কাছে গিয়েছি।
কিন্তু কোথাও কিছু খুঁজে পাইনি।
কিছু দূর যেতে এপাশে ঝিলের লাল পদ্মটা দেখে দাড়িয়েছি। শুনি, সে তোমার গল্প বলে।
আমার গল্পের প্রতি শব্দ কেন তোমার স্পর্শের গল্প বলে?
আমি যখন ব্যস্ততায় সময় পার করি, মাঝে মাঝে অকারণে হাসি, ছোট ছোট কাজের মাঝে আটকে যাই হঠাৎ, মেঠো পথে হাঁটার সময় অকারণে ধূলি উড়াই, বসন্ত কুড়িতে তোমার নাম লিখে যাই কিংবা আনমনে সেতারের সুরে তোমার ছন্দ তুলি,সব কবির কলমে তুমি আমি প্রেমকাহিনী রটিয়ে দেই।
বলতো তোমার কি এমন হয়?
তুমি অনেক জলের মাঝখান থেকে কুড়িয়ে আনা একটুকরো সোনা।
শুধু পুড়ানোর অভাবে ই করতে পারিনি গলার গহনা।
আজো উন্মুক্ত আমার গলা
তোমার শিষের ঝংকারই হয় নেপথ্যের মালা।
ভালো থেকো তুমি।
নাসরিন জাহান
২৩-০১-২৪