বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
মোঃ জসিম উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি, কালের খবর :
মাটিরাঙ্গা আদর্শ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাটিরাঙা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি-৯৭ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা জল পাহাড়ে ১লা মে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে পুনর্মিলনীর এই অনুষ্ঠান।
মানুষের জীবনের সব চেয়ে মধুর সময়টা হল তার স্কুল জীবন। স্কুলের কথা মনে পড়লেই মনটা কী ভাল হয়ে যায়। আবার ফেলে আসা স্কুল জীবনটার স্মৃতিগুলো মনে করলে মনটা খারাপও হয় যায়। বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমি, টিফিনের সময় ক্লাস ফাঁকি দেয়া, ক্লাসের ফাঁকে নানারকম খেলাধূলা সহ কতই না স্মৃতি জড়িয়ে আছে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনে। আমাদের এই ব্যস্ত জীবনের সব জঞ্জাল দূরে ফেলে দিয়ে আবারও ছুটে যেতে ইচ্ছে হয় স্কুলের সেই গন্ডিতে।
কিন্তু ইচ্ছে যতই থাকুক, ব্যস্ত এই যান্ত্রিক জীবনে স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করাটা আজকাল তেমন হয়েই ওঠে না। আর ঠিক সেই কথা ভেবেই, স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে সেই পুরনো সময় গুলোকে স্মৃতিচারণ করতেই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সকলে মিলে একান্ত কিছু সময় কাটানোর জন্য আয়োজন করে এই মিলন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ ব্যাচের বন্ধুদের পরিবারকে রজনীগন্ধা ফুলের স্টিক দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
সকালের নাস্তা শেষে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত জীবনের শৈশবের সকল বন্ধুদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ।
মিলনমেলায় উপস্থিত হওয়া সকল বন্ধুদের পরিবার সম্পর্কে জানা-অজানা সব কথা ও পরিচয় পর্ব শেষে নানা খুনসুঁটিতে মেতে ওঠেন উপস্থিত সবাই।
মধ্যহ্নভোজ শেষে এক মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটি। সন্ধ্যায় হালকা নাস্তা পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।
পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহবায়ক ছিলেন এই বিদ্যালয়েরই কৃতি ছাত্র মোঃ আব্দুল আহাদ ভূঁইয়া লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবী ফেনী।
এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদযাপন কমিটির সহ-আহবায়ক হিসেবে ছিলেন জামাল উদ্দিন সবুজ (শিক্ষক), মোঃ মফিজুল ইসলাম মুন্না (শিক্ষক), মোঃ কুদ্দুস এনজিও কর্মকর্তা ও চামেলি ত্রিপুরা শিল্পী চট্টগ্রাম বেতার।
আব্দুল আহাদ বলেন,২৮ বছর পর আমাদের প্রানের বন্ধুদের এই মিলন মেলা আয়োজিত হল। সবার উপস্থিতিতে আজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনেক সুন্দর সময় কাটলো। সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’
অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বখতিয়ার,
পুনর্মিলনীর অন্যতম উদ্যোক্তারা প্রতিবেদক’কে বলেন,আমরা মাটিরাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে দীর্ঘ ২৮ বছর আগে পড়ালেখার পাঠ শেষ করেছি। এতদিন পরে কে, কোথায়, কিভাবে, কেমন আছে এবং প্রিয় বন্ধুদের মুখগুলো কাছ থেকে দেখতে ও পুরো একটা দিন একসাথে কাটাতে এমন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছিলো। আয়োজনটি সফল করতে অংশ নেয়া সকল বন্ধুদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল নিয়ে অনেক আনন্দের আর কৃতজ্ঞতার স্মৃতি ছিলো। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা যারা আমাদের গড়ে তুলেছেন, তাদের অবদান আমরা কখনই ভুলতে পারব না। তাই কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের, যাদের পরম স্নেহের স্পর্শে আজ আমরা সবাই সফলতার দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পেরেছি।’
মিলনমেলায় অংশ নেয়া ১৯৯৭ ব্যাচের বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত থেকে মিলনমেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলেছিলেন চামেলি ত্রিপুরা,কিশোর ত্রিপুরা ,ভবতোষ চাকমা দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ মাটিরাঙ্গা শাখা, কাজী গোলাম আযম এম আই এস টি গাজিপুর, মোঃ সফিউল্লাহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নোয়াখালী, এ কেএম সাদেকুর রহমান মাসুম ইয়ং ওয়ান চট্টগ্রাম,পাইনেসা মারমা সিনিয়র নার্স মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,মোঃ জসিম উদ্দিন ম্যানেজার মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ আবুল খায়ের গ্রুপ টেক্সটাইল ডিভিশন,(রবিন টেক্স)মোঃশহীদুল্লাহ শিক্ষক,মোস্তফা কামাল শিক্ষক,সুনীল ত্রিপুরা,কামনা ত্রিপুরা,জয়নব বিবি সাবেক সদস্য মাটিরাঙ্গা পৌরসভা, ময়ূরী ত্রিপুরা,মোঃ রাজু জিপ চালক মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ, আঞ্জুমানআরা খানম জলি,স্বপন মোহন ত্রিপুরা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সহ আরো অনেকেই।