বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ন
এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে এবং তারই অংশ হিসেবে সাংবাদিক আজহার মাহমুদকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক নেতারা। এ সময় তাঁরা সাংবাদিক আজহার মাহমুদের মুক্তি দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তাঁরা এ দাবি করেন। এ সময় তাঁরা আরও বলেন, এই কালো আইনের কারণে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। একইভাবে সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, রুহুল আমিন গাজীকে যে আইনে গ্রেপ্তার রাখা হয়েছে, ওই আইনে একই মামলায় অনেক আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। অথচ অন্যায়ভাবে রুহুল আমিন গাজীকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। তার অপরাধ ছিল, তিনি সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বলতেন।
তারা আরও বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ডিজিটাল আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তার করা হবে না। তার পরও একের পর এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দেশে মুক্ত সাংবাদিকতার বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। তাই আমরা আজ এই সমাবেশ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিএফইউজের মহাসচিব এম এ আজিজ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এখন পর্যন্ত দেশে ৯০০ মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০০ মামলাই সাংবাদিকদের নামে। সরকারদলীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে তার দলের কর্মীদের করা এসব মামলায় অনেক সাংবাদিক কারাগারে আছেন।
ডিআরইউর সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার সময় সাংবাদিকেরা এর প্রতিবাদ করলে আইনমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় কোনো প্রকার বাধা সৃষ্টি করবে না। তবে সাংবাদিক আজহারকে গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে এটা সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করা আইন।
গ্রেপ্তার আজহার মাহমুদের বড় ভাই তাঁর মুক্তি দাবি করে বলেন, আজহার নির্ভীক, সাহসিকতা ও সত্য প্রকাশের সাংবাদিকতা করে বলেই সে আইনের ভয় পায়নি, আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।
আজহার মাহমুদ ডিআরইউর সিনিয়র সদস্য এবং ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গতকাল পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। বর্তমানে তিনি দিনাজপুর কারাগারে বন্দী।