বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচন সম্পন্ন : সালাম সভাপতি, ছনি সম্পাদক নির্বাচিত। কালের খবর সীতাকুণ্ডে জামায়াত নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ। কালের খবর আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে কালভার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি। কালের খবর জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর
সাংবাদিক আজহার মাহমুদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ। কালের খবর

সাংবাদিক আজহার মাহমুদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ। কালের খবর

এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর :

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে এবং তারই অংশ হিসেবে সাংবাদিক আজহার মাহমুদকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক নেতারা। এ সময় তাঁরা সাংবাদিক আজহার মাহমুদের মুক্তি দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তাঁরা এ দাবি করেন। এ সময় তাঁরা আরও বলেন, এই কালো আইনের কারণে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। একইভাবে সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, রুহুল আমিন গাজীকে যে আইনে গ্রেপ্তার রাখা হয়েছে, ওই আইনে একই মামলায় অনেক আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। অথচ অন্যায়ভাবে রুহুল আমিন গাজীকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। তার অপরাধ ছিল, তিনি সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বলতেন।

তারা আরও বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ডিজিটাল আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তার করা হবে না। তার পরও একের পর এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দেশে মুক্ত সাংবাদিকতার বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। তাই আমরা আজ এই সমাবেশ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিএফইউজের মহাসচিব এম এ আজিজ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এখন পর্যন্ত দেশে ৯০০ মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০০ মামলাই সাংবাদিকদের নামে। সরকারদলীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে তার দলের কর্মীদের করা এসব মামলায় অনেক সাংবাদিক কারাগারে আছেন।

ডিআরইউর সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার সময় সাংবাদিকেরা এর প্রতিবাদ করলে আইনমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় কোনো প্রকার বাধা সৃষ্টি করবে না। তবে সাংবাদিক আজহারকে গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে এটা সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করা আইন।

গ্রেপ্তার আজহার মাহমুদের বড় ভাই তাঁর মুক্তি দাবি করে বলেন, আজহার নির্ভীক, সাহসিকতা ও সত্য প্রকাশের সাংবাদিকতা করে বলেই সে আইনের ভয় পায়নি, আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।

আজহার মাহমুদ ডিআরইউর সিনিয়র সদস্য এবং ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গতকাল পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। বর্তমানে তিনি দিনাজপুর কারাগারে বন্দী।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com