বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি বরাবরই মাস্কের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমার মতে, এটা পরার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় ও স্থান রয়েছে। যখন আপনি হাসপাতালে থাকবেন, বিশেষ করে এ রকম নির্দিষ্ট অংশে, যখন আপনার অনেক সৈনিক ও মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে, যাদের কেউ কেউ মাত্রই অপারেশন টেবিল থেকে ফিরেছেন, তখন মাস্ক পরা খুব ভালো একটা ব্যাপার।’
ওই চিকিৎসাকেন্দ্রে ট্রাম্প গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মাস্ক পরা প্রেসিডেন্টের ছবি তোলেন তারা। ট্রাম্পের ব্যবহার করা নেভি ব্লু মাস্কের একপাশে প্রেসিডেন্সিয়াল সিল এমবসড করা ছিল। এ সময় ট্রাম্প শুধু বলেন, ‘ধন্যবাদ’। গত সপ্তাহে ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি পুরোপুরি মাস্কের পক্ষে।’
গত এপ্রিল মাসে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সবাইকে জনসম্মুখে মাস্ক পরার সুপারিশ করে। তখন ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এটি পরবেন না। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু খবরে বলা হয়েছে, জনসম্মুখে মাস্ক পরার জন্য বারবার তাকে অনুরোধ করেছেন তার সহকারীরা।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত এক লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ দেশটির লুইজিয়ানা রাজ্যে পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের বিস্তারের গতি মন্থর করতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তারপরও ট্রাম্পের মাস্ক ব্যবহারে অনীহায় তার নেতৃত্বের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করেন সমালোচকরা।
তার প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানালেও ট্রাম্প, যিনি নভেম্বরে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, অর্থনৈতিক কর্মকা- শুরু করার জন্য তার দেশের রাজ্যগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু অনেকগুলো রাজ্য করোনা ভাইরাস বিধিনিষেধ শিথিল করার পর ভাইরাসটি ফের বিস্তারের সুযোগ পায়।