২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এক বছর না যেতেই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই সময়ে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া ভারী যানবাহন চলাচল করেছে হরহামেশাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালিশুরি-কাছিপাড়া এ সড়কের দুই পাশে রয়েছে হাজেরা তালুকদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছিটকা মহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পোনাহুরা ফাজিল মাদ্রাসা, ছিটকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি মাদ্রাসা। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের যাতাযাতের একমাত্র পথ এ সড়কটি। এ ছাড়াও কালিশুরি থেকে কম সময়ে জেলা সদরে যাওয়ার পথ এটি।
উপজেলার ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ইসমাইল তালুকদার বলেন, এই সড়কটি দিয়ে তার প্রতিদিন কর্মস্থল যেতে হয়। সড়কটির এমনই দশা যে জুতা পায়েতো দুরের কথা, খালি পায়ে যাওয়া কষ্ট সাধ্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগেই তিনি সড়কটির সংস্কার করার দাবী জানান।
স্থানীয় পরিবহন গাড়ির চালক নিজাম মীর বলেন, কালিশুরি, ধুলিয়া এই দুই ইউনিয়নের মানুষের জেলা সদরে যাতায়াতে অন্যতম পথ এ সড়কটি। দৈনিক হাজার হাজার যাত্রী যানবহানে চলাচল করতো এ সড়ক দিয়ে। সম্প্রতি বাউফল –কালিশুরি মহাসড়ক সংস্কার শুরু হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের ভরসা ছিল এই সড়ক। সেটার বর্তমানে চলাচলের অনুপোযোগী।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান আহম্মেদ বলেন, সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে।