শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
কালের খবর রিপোর্ট :
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ২২ নম্বর ওয়ার্ডকে আধুনিক ও বাসযোগ্য করার অঙ্গীকার করছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করতে চান তারা।
একই সঙ্গে পানি ও মশক সমস্যার সমাধান, প্রশস্ত রাস্তা, খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ ও পরিবেশ দূষণ রোধ করে ওয়ার্ডে সবুজায়ন করতে চান সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
দলীয় মনোনয়ন পেতে উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ করছেন তারা। প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ভোটার অধ্যুষিত ডিএনসিসির ২২ নম্বর ওয়ার্ড।
এখানে হোল্ডিং রয়েছে ৪,২১৯টি। পূর্ব রামপুরা, পশ্চিম রামপুরা, উলন ওমর আলী লেন, নাসিরের টেক, বাগিচার টেক, দাসপাড়া, মহানগর আবাসিক এলাকা, বনশ্রী আবাসিক এলাকার অংশ ও মোল্লাপাড়া এ ওয়ার্ডে পড়েছে। ডিএনসিসি অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন সিটি কর্পোরেশনের সবচেয়ে বড় ওয়ার্ড।
ডিএনসিসির ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন, রামপুরা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ কাইউম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এমএ আকরাম মুকুল, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন সাংগঠনিক ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউনুছ আলী, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. লিয়াকত আলী, ২২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ গোলাম রসূল, ২২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ুন কবির হিমু, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন সাংগঠনিক ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সভাপতি ফয়াজ আহমেদ ফরু, রামপুরা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত নির্বাচনের পর এ পর্যন্ত ওয়ার্ডে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। ওয়ার্ডে নেই কোনো স্থানীয় বাজার ও কমিউনিটি সেন্টার, অবৈধভাবে ফুটপাত ও অলিগলির ভেতরে বসা বাজারের ওপর নির্র্ভর করতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের।
মহল্লার অনেক রাস্তায় নেই বিদ্যুতের আলো, পুরো ওয়ার্ডে মাদকের অভয়রাণ্য। শিশু-কিশোরদের জন্য নেই কোনো বিনোদন ব্যবস্থা। সবমিলিয়ে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। সব ধরনের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
এমএ আকরাম মুকুল বলেন, এ ওয়ার্ডে উন্নয়ন করতে হলে বাড়িওয়ালা সমিতিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। সব ধরনের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত এ ওয়ার্ডের মানুষ। কিভাবে ওয়ার্ডের সব সমস্যা দূর করা যায় তার জন্য আমরা একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
এমএ কাইউম বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে জনগণ অনেক নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত। কাউন্সিলর জনগণের কোনো খোঁজ রাখে না। আমি নির্বাচিত হলে নাগরিকদের সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করব।
শেখ মোহাম্মদ গোলাম রসূল বলেন, এ ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্তাঘাট অনেক খারাপ, তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমি নির্বাচিত হলে জনগণের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে এ ওয়ার্ড দুই ভাগে বিভক্ত করব। সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসহ সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত ওয়ার্ড গড়ব।
রামপুরা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে অন্যতম সমস্যা হল মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি। এ ওয়ার্ডে নেই কোনো বাজার। আমি নির্বাচিত হলে সব সমস্যা দূর করব।
নাগরিকরা যাতে কোনো ধরনের নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত না হন সেজন্য কাজ করব। মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ওয়ার্ডে বাজার ও খেলার মাঠ নেই। আমি নির্বাচিত হলে বাজার কমিউনিটি সেন্টার করব।