শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
কালের খবর প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়া বন্ধ থাকার পরে তা আবার খুলে দেওয়া হয়। তবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশকরা নতুন বাংলাদেশি শ্রমিকরা সেখানে ভালো নেই। দৈনন্দিন চলাফেরার নানা খরচে বেতনের সিংহভাগই শেষ হয়ে যায়। এছাড়া সে দেশে গিয়ে কাঙ্খিত কাজও পাচ্ছেন না অনেকে। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের।
দীর্ঘ ৮ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৭ সালে খুলে যায় মালয়েশিয়ার বাজার। বছরে ৪ লাখ করে ৩ বছরে ১২ লাখ শ্রমিক পাঠানোর পরিকল্পনা থাকলেও, প্রথম বছরে পাঠানো সম্ভব হয় একলাখের কিছু কম।
কিন্তু মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে প্রবেশ করা নতুন শ্রমিকদের অভিজ্ঞতাও ভাল নয়। গড়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করে যাওয়া শ্রমিকদের অনেকেই নিরাশ হয়ে ফিরে আসছেন দেশে।
অভিবাসনের গুণগত মান বজায় রাখার কথা বলে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানো হয় মালয়েশিয়ায়। যার কারণে কর্মী রপ্তানির লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। কিন্তু গুণগতমান বজায় রাখাও সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
রামরুর পরিচালক মেরিনা সুলতানা বলেছেন, যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের কর্ম দক্ষতা ভালো না থাকায় কর্ম ক্ষেত্রেসহ সবজায়গায়ই নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে চচ্ছে প্রবাসীদের।
শ্রমবাজারগুলোতে সরকারের পর্যবেক্ষণ না থাকা এবং কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে শ্রমিকরা বিদেশে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে দাবি রপ্তানিকারকদের।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ার বাজার খুলেছে। তাই নানা রকম সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এসব সমস্যা পর্যবেক্ষণ করে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়া গিয়েছে।