শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১০ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি, কালের খবর :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও ঢলের পানিতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক দিনে টানা বৃষ্টিতে নদীর তীরবর্তী ও নিন্মাঞ্চলের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে পাচঁশতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।
খোঁজ খবর নিয়ে যানা যায়, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুশিয়ারা ও নলজুর নদীসহ হাওরগুলোতে পানি বেড়ে উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের আলাগদি, জালালপুর, খাঁনপুর, আলীপুর, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজার, রানীনগর, নোয়াগাঁও, আলমপুর, রৌয়াইল, জগন্নাথপুর পৌরসভার যাত্রাপাশা, শেরপুর, পশ্চিম ভবানীপুর, সৈয়দপুর-সৈয়দপুর ও কলকলিয়া ইউনিয়নসর জগন্নাথপুরের বিভিন্ন হাটবাজার সহ শতাধিক গ্রামের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক, লাউতলা-রসুলগঞ্জ সড়ক, বাউধরন-বেরী সড়ক, বেতাউকা-সমধলসহ জগন্নাথপুরের বিভিন্ন গ্রামীন সড়ক। ফলে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। উপজেলা সদরের আব্দুস সামাদ আজাদ অডিটরিয়াম, পাইলগাঁও বিএন উচ্চ বিদ্যাল সহ আরো কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যা দূর্গত জনসাধারন আশ্রয় নিয়েছেন।
উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, ইউনিয়নের প্রায় সব গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সব কটি গ্রামীন সড়ক ঢুবে গেছে। মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। পানি বেড়েছে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে হাওরাঞ্চলে নিচু এলাকায় যারা নতুন বাড়ীঘর তৈরী করেছেন এসব পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
উপজেলা আরেক বাসিন্দা হরমুজ আলী জানান, পানি বেড়েছে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে। কারণ ২০২২ সালে এই সময়ে জগন্নাথপুরে স্মরণকালের এক ভয়াবহ বন্যায় অচল হয়ে পড়েছিলেন উপজেলাবাসী। গত তিন দিনে পানি বেড়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম জানান, জগন্নাথপুরে গত তিন দিনে পানি বেড়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করেছি। এরমধ্যে পানিবন্দি লোকজনের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো।