সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
মিহিরুজ্জামান সাতক্ষীরা, কালের খবর :
সকাল থেকেই আকাশ ছিল মুখভার,দুপুরের দিকে কখনও রৌদ্র আবার কখনও মেঘলা আকাশ,সন্ধ্যার আগেই সূর্য হারিয়ে গিয়েছিল,বইছিল ঠান্ডা বাতাস, তারপর সাত টার দিকে আকাশে মেঘের গর্জন,ঝড়ো হাওয়া, বিদ্যুৎ চমকানো শুরু হলো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। কিছুক্ষনের মধ্যে মুসুলধারে না হলেও বৃষ্টি নামতে থাকে। কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত,প্রত্যাশিত বৃষ্টি। এভাবে চলতে থাকে অন্তত এক দেড় ঘন্টা। দীর্ঘ দিনের তাপদাহ,ভ্যাপসা গরম আর অসহনীয় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির যবনিকাপাত ঘটলো। চোক জুড়ানো,মন ভুলানো কাঙ্খিত বৃষ্টিপাতে জনজীবনের স্বস্তি এতটুকু একাকার মেঘ ডাকা বিদ্যুৎ চমকানোর শংকাকে মাথায় রেখে অনোন্দ পরম আনন্দে বৃষ্টিরপানিতে ভিজেছে। প্রত্যাশিত বৃষ্টির দেখা পাওয়ার কেবল জনজীবনে স্বস্তি আসেনি সাতক্ষীরার উৎপাদন ব্যবস্থায় যে ছন্দপতন ঘটেছিল,উৎপাদন ব্যহত হচ্ছিল বিশেষ করে চিংড়ী সাদা মাছ উৎপাদনে গতি সঞ্চার করবে বৃষ্টিপাত। জেলার কৃষি উৎপাদনেও অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছিল বৃষ্টিহীনতার আর তাপদাহ। সবজি উৎপাদন আশঙ্কাহারে হ্রাস পেয়েছিল। এক কথায় সব ধরনের উৎপাদনে,নির্মানে জনজীবনে অস্থিরতার ক্ষেত্র বির্নিমান হয়েছিল।গতকাল সন্ধ্যা হতে শুরু হওয়া প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা ব্যাপী বৃষ্টিপাত নিমিষেই পরিবর্তন,পরিবর্ধনের মাধ্যমে সুনশান সুখময় পরিস্থিতির অবতরনা ঘটিয়েছে। প্রকৃতিকেও করে অপরুপ,দীর্ঘ দিনের ঘাটতি হাহাকার আর অসংকোচকে দুরীকরন করেছে।সাতক্ষীরা শহরের পাশাপাশি জেলার সর্বত্র বৃষ্টিপাতের দেখা দিয়েছে। কোন কোন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যাশিত বৃষ্টিকে কেবল মাত্র বৃষ্টিপাত বলতে নারাজ অনেকে তাই উদ্বাসিত এবং খুশি হয়ে বলতে দেখা গেছে রহমতের বৃষ্টি।