বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
নয়ন আলী, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে ১৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে অবিহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের লেকচার থিয়েটারে সকাল ১০টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, আমরা মনে করি যে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নাগরিক ছাড়া সুশিক্ষিত নাগরিক হওয়া সম্ভব নয়। তাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতি চর্চার এবং আমাদের মৃত্তিকালগ্ন সংস্কৃতির নির্যাসগুলোকে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, এজন্যে আমরা আমাদের ধারাটাকে এমনভাবে নিয়ে যেতে চাই, যাতে প্রতিফলিত হবে বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটি প্রতিফলিত হলে তা প্রকারান্তরে মুজিব আদর্শের বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সৃষ্টির পেছনে যে উদ্দেশ্য রয়েছে, আমরা সেই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে আমাদের শিক্ষাক্রমকে প্রস্তুত ও সেটাকে বিন্যস্ত করতে চাই। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির উদ্দেশ্য বিশ্বকবি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মকে চিরঅম্লান করার লক্ষ্যে গবেষণা ও পঠন-পাঠনের মাধ্যমে পরিবর্তমান বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলার সামর্থ্য অর্জন করা।
তিনি আরো বলেন, আমাদের যে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন তাদের মধ্যে সমন্বয় করে একটি সুসমন্বিত তথা ইন্টিগ্রেটেড পরিবেশ তৈরি করেছি এবং সেটির মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে আমাদের নানা সংকট থাকলেও আমাদের আন্তরিকতা ও সাংস্কৃতিক মমত্ববোধ দিয়ে আমরা এই সংকটগুলো থেকে উত্তরণে সদা সচেষ্ট। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে বিভিন্ন দিকে অগ্রসর হয়েছে যার অনেকটাই দৃশ্যমান।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন নয়, দেশের যেকোনো সংকটে ও দুর্যোগে অবদান রাখা। উপাচার্য বলেন, একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিভাবে সেবা পাচ্ছে সেই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা প্রদানে সফলতা ও ব্যর্থতার নির্ণায়ক। আমরা যদি আমাদের নিজেদের নীতি নৈতিকতার উপরে নির্ভর করি তাহলে লিখিত কোন আইন কানুনের প্রয়োজন হয় না। তারপরেও একটি প্রতিষ্ঠানে যদি লিখিত কোন আইন না থাকে তাহলে প্রতিষ্ঠানের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা অনিশ্চিত হয়ে পরে। তিনি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার সফলতার লক্ষে সমতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণমূলক সেবা নিশ্চিত করতে হবে, তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা প্রদানে সকলকে নিজ জায়গা থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ ও নবীন শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ সোহরাব আলী। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এই সভায় অংশীজন হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ে অংশীজনের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।