মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি, কালের খবর : মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ও বণ্যপ্রাণী হ্যান্ডেলিং শীর্ষক প্রশিক্ষণ নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরজ করছে। মৌভীবাজার জেলার প্রথম সারির সাংবাদিক সংগঠনের দিয়ে বন বিভাগ তাদের মন গড়া সাংবাদিক দিয়ে কর্মশালার আয়োজন করে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাসস্থল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দশ দিন ব্যাপী মৌলভীবাজারে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ও বণ্যপ্রাণী হ্যান্ডেলিং শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। বন বিভাগ তাদের ইচ্ছে মাফিক নিজস্ব ফায়দা হাসিলের জন্য নামকাস্থে কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে কর্মশালা করছেন। যারা অংশ গ্রহন করাচ্ছেন অনেকেই নাম মাত্র সাংবাদিক। বাস্তবে তাদেরে কোন সংবাদ লিখেন না। অথচ প্রথম সারীর স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা এই কর্মশালায় নেই। ফলে প্রথম সারির সাংবাদিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। জানা গেছে,বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ও বণ্যপ্রাণী হ্যান্ডেলিং শীর্ষক প্রশিক্ষণ নিয়ে বছরে একাদিকবার এসব অনুষ্টান নিজস্ব কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে দায়সারা ভাবে করে আসছেন। সরকারের এই মহৎ উদ্যেগ নেয়া বরাদ্ধ কোন কাজে আসছেনা। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ও বণ্যপ্রাণী নিয়ে উদ্যোগ সফলতাকে ব্যর্থতায় পরিনত করছেন স্বার্থনেশী মহল এমনটি মনে করছেন সাংবাদিকরা।
গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে বর্ষিজোড়া বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কার্যালয় হল রুমে ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মশালা চলবে। বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সরোয়ার এর সমন্বয়ক। প্রশিক্ষণ কর্মশালা সভাপতিত্ব করেন,বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করাম চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পাখি বিশেষ বিশেষজ্ঞ ও লেখক ইনাম আল হক। দশ দিন ব্যাপী কর্মশার্লায় জেলার সাংবাদিক, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ স্বেচ্ছাসেবী সদস্য,ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিসহ ৩০জন অংশ গ্রহন করেন।
উল্যেখ্য বন্যপ্রানী ও সংরক্ষন বিভাগের কতেক দুনীতিবাজ কর্মকর্তা নিজেদের মন মতো সাংবাদিক ও লোকজন নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনিয়র সাংবাদিক ও স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকরা নিয়ে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন- প্রথম সারীর জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রতিদিন এসব খবরা খবর প্রকাশ করলেও তাদের মুল্যয়ন করেনি। বরং নাম মাত্র পত্রিকার সাংবাদিককে অংশ গ্রহনের আমন্ত্রন দিয়েছে।
এবিষয়ে বন্যপ্রাণী ও সংরক্ষন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করাম চৌধুরী এর সাথে প্রথম সারি ও স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক কেন নেয়া হয়নি বিষয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদের বন বিভাগকে যারা যোগাযোগ আছে তাদের নাম কর্মশালায় দিয়েছি। প্রতিটি কর্মশালায় প্রথম সারির পত্রিকার সাংবাদিক ও স্থানীয় পত্রিকা সম্পাদককে কেন রাখা হয়নি প্রশ্নের পাশ কেটে বলেন, আগামীতে স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক ও জাতীয় জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিক এর চিন্তা ভাবনা করবো।
সৈয়দ ফেরদৌস