সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিএফইউজে’র রিপোর্ট সাংবাদিক নিপীড়নের চিত্র : ১১ মাসে খুন, হামলা, মামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার ২৯৬ সাংবাদিক। কালের খবর সরকারের চাপে পড়ে যে কজন হেভিওয়েট নেতা বিএনপি থেকে বেরিয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছেন। কালের খবর মানবতার সেবায় উদাহরণ হয়ে থাকবেন ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক। কালের খবর সিরাজগঞ্জ- ৬ শাহজাদপুর আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন মোঃ চয়ন ইসলাম। কালের খবর আসন্ন সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের মনোনয়নপত্র জমা। কালের খবর প্রতিদিন পাচার হচ্ছে ৪০-৫০ লাখ টাকা, ধরাছোঁয়ার বাইরে চক্রের সদস্যরা। কালের খবর দলের মনোনয়ন-বঞ্চিত হয়ে চট্টগ্রাম -১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে একাত্মতায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। কালের খবর মাশরাফির আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী-সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নুর ইসলাম। কালের খবর মুরাদনগরে বাড়িতে ঢুকে অতর্কিত হামলা ভাঙচুর মামলা নেয়নি ওসি নিরাপত্তাহিনতায় ভুক্তভোগি পরিবার। কালের খবর যশোর ৪ আসনে (এনামুল হক বাবুল) নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় বাঘারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল। কালের খবর
পূর্ণিমার বিচ্ছেদ ও দ্বিতীয় সংসার। কালের খবর

পূর্ণিমার বিচ্ছেদ ও দ্বিতীয় সংসার। কালের খবর

avertisements

এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর, ঢাকা :

জনপ্রিয় নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা আবারও বিয়ে করেছেন। গত ২৭ মে সেরেছেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তবে গত বৃহস্পতিবার খবরটি প্রকাশ্যে আসে। তার বরের নাম আশফাকুর রহমান রবিন। তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। কিন্তু কি কারণে পূর্ণিমার সঙ্গে সাবেক স্বামী ফাহাদের ডিভোর্স হয়েছে? এ প্রসঙ্গে পূর্ণিমা বলেন, আমাদের প্রায় ১২ বছর সম্পর্ক ছিল। এত বছর ধরে চেষ্টা করে গেছি। কোনোভাবে মনের মিল, বোঝাপড়া যেটা থাকে ওটা হয়নি।

পূর্ণিমা জানান, ফাহাদের সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়েছে ৩ বছর আগে। সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলেও সাবেক স্বামীর মঙ্গলই চান নায়িকা।

তিনি বলেন, আমি কখনো কারও খারাপ চাই না। কখনো কারও জীবন নষ্ট হোক সেটাও চাই না। যেটাই হোক না হোক বোঝাপড়ার মাধ্যমে। অনেক চেষ্টা করেছি। অনেক চেষ্টা করেও যখন আর পারছিলাম না, তখন না পারতে চুপচাপ সরে এসেছি।

প্রায় ২ মাস আগে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে পারিবারিক বিভিন্ন কারণে বিষয়টি এতদিন প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। বর্তমানে রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে এক ছাদের নিচে বসবাস করছেন এ অভিনেত্রী। চার বছরের বন্ধুত্ব ও প্রেমের পরেই রবিনকে বিয়ে করেছেন পূর্ণিমা।

স্বামী হিসেবে কেন আশফাকুর রহমান রবিনকেই পছন্দ হলো তার? এ প্রশ্নের জবাবে নতুন স্বামীকে প্রশংসা ভাসালেন পূর্ণিমা। ‘মনের মাঝে তুমি’ খ্যাত নায়িকা বলেন, ‘ছেলেটা আসলেই খুব ভালো। ভালো একজন মানুষ। যার কাছে সবকিছু বলা যায়। যাকে সবক্ষেত্রে বিশ্বাস করা যায়। আমরা কাজের ক্ষেত্রে কাজই করেছি। আবার বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সেটা সেভাবে বজায় রেখেছি।’ শুধু রবিনই নয়; নতুন স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও পছন্দ হয়েছে বলে জানালেন পূর্ণিমা।

তিনি বলেন, ‘রবিনদের পরিবারটা খুবই রক্ষণশীল। আমিও সব জায়গায় গিয়ে ঘুরে বেড়ানো, রেস্তোরাঁয় খাওয়া এরকম টাইপের মানুষ না। ভালো লাগা, বোঝাপড়া থেকে মনে হয়েছে ঠিক আছে। সেখান থেকে দুজনেরই যখন মনে হয়েছে জীবনসঙ্গী হিসেবে, পার্টনার হিসেবে আমাদের এগোনো উচিত, তখনই পরিবারকে জানাই।’ তবে অভিনেত্রী হওয়ায় রবিনের পরিবার তাকে মেনে নিবে কিনা সেই দুশ্চিন্তাও ছিল পূর্ণিমার।

তিনি জানালেন, ‘আমার একটা ব্র্যাকগ্রাউন্ড আছে। আর তাদের রক্ষণশীল পরিবার। সবকিছু মিলিয়ে সবাই আমাকে তারা গ্রহণ করবে কিনা; এ নিয়ে একটা চিন্তা তো ছিলই। কিন্তু তার পরিবার খুব সুন্দরভাবে বিষয়টিকে গ্রহণ করেছে।’

কীভাবে রবিনের সঙ্গে পরিচয় সে কথাও জানালেন পূর্ণিমা। বর্তমানে দেশের বহুজাতিক একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন তিনি। তবে পরিচয়কালীন রবিন অন্য একটি চাকরি করতেন বলে জানালেন পূর্ণিমা।  সেই চাকরিসূত্রেই নাকি রবিনের সঙ্গে তার পরিচয়।

পূর্ণিমা বলেন, ‘তখন সে (রবিন) অন্য একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতো। ওই কোম্পানির পক্ষ থেকে অনেক ইভেন্ট হতো। ইভেন্টে নিজের অধীনে থাকা ব্র্যান্ডগুলো দেখতো রবিন। সংগীতশিল্পী, ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে ছিল তাদের কাজ। আমিও টানা একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করি। ওখান থেকেই আমাদের কথাবার্তা শুরু হয়। শুরুতে বন্ধুত্ব ছিল। পরে দুজনেই চিন্তা করে দেখলাম, একসঙ্গে সংসার করতে পারি। পরিবারকে জানাতেই তারা আমাদের মতামত গুরুত্ব দেন। বন্ধুত্ব, বিশ্বাস আর শ্রদ্ধাবোধ সবই পেয়েছি রবিনের মধ্যে। সেখান থেকেই মূলত সম্পর্ক মজবুত হয়। ’

বিয়ের সিদ্ধান্তটাও হুট করে নেওয়া বলে জানালেন পূর্ণিমা। এ তারকা বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে হুট করেই। রোজার ঈদের পর। পরিবারকে যখনই জানানো হয়েছে ওনারা বলেছেন, ‘তাহলে আর দেরি করো না। এক দুই সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করে ফেল।’ কোনো ধরনের কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। হুট করেই আমরা বিয়েটা করেছি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com