শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে বারণ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত পাঁচ। কালের খবর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত আম গাছ কাটল দূর্বৃত্তরা। কালের খবর বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার প্রজেক্টের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র মতবিনিময়। কালের খবর রায়পুরায় মরহুম ডাঃরোস্তাম আলীর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে রায়পুরাতে দোয়া ও ইফতার। কালের খবর রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে গুনীজনদের আলোচনা সভা সম্পন্ন। কালের খবর আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর সাতক্ষীরার সুন্দরবন রেঞ্জে ২৪ জন হরিন শিকারীর আত্মসমর্পণ। কালের খবর
৯ বছরেও শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্প জনদুর্ভোগ চরমে। কালের খবর

৯ বছরেও শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্প জনদুর্ভোগ চরমে। কালের খবর

কালের খবর প্রতিবেদন :

বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কে চলছে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ‘বিআরটি’ প্রকল্পের কাজ। এতে পুরো সড়কে দেখা দিয়েছে খানা-খন্দ। বড় বড় গর্তে জমে আছে পানি। মূল সড়কের ওপরে রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। দিনের বেশির ভাগ সময়ই লেগে থাকে যানজট। যা কখনো ঘণ্টাব্যাপীও স্থায়ী হয়। এতে অফিসগামী মানুষ ও প্রয়োজনীয় কাজে ঢাকায় আসা মানুষকে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়তে হচ্ছে। রোগী পারাপারে এম্বুলেন্সও আটকে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

ঢাকা ও গাজীপুর এলাকার যানজট নিরসনে ২০১২ সালের ২০শে নভেম্বর একনেক সভায় অনুমোদন পায় ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট)। তখন এ প্রজেক্টে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের শেষ দিকে কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে ২০২১ সালেও এই কাজ সমাপ্ত হয়নি। গত ৯ বছরে প্রকল্প এগিয়েছে মাত্র ৬৩ শতাংশ। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায়। আগামী বছরের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার সংশোধিত সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নতুন নির্ধারিত সময় ২০২২-এর ডিসেম্বরেও শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
সরজমিন ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কের প্রশস্ততা ১৮০ থেকে ১৯০ ফুট। অন্যদিকে গাজীপুর অংশের কোথাও কোথাও সড়কের প্রশস্ততা ৬০ থেকে ৬৫ ফুট। বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর ব্যস্ততম এই সড়কটি সরু হয়ে যায়। এতে প্রশস্ততা কোথাও কোথাও অর্ধেকের নিচে নেমে আসে। সড়কের মাঝ বরাবর বিআরটি প্রকল্পের পিলার বসানো হয়েছে। সড়কের পাশে ও উপরে পড়ে আছে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী। কোথাও কোথাও দীর্ঘদিন কাজ না হলেও তা সংস্কার করা হচ্ছে না। প্রকল্প চলাকালীন এসব সড়ক সংস্কারের দায়িত্ব প্রকল্পের ঠিকাদারদের। এজন্য বরাদ্দও আছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসব সংস্কারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ প্রকল্পের ১৬ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন-প্রশস্তের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। সাড়ে ৪ কিলোমিটার উড়াল সড়ক, বিআরটি লেন, স্টেশন ও ১০ লেনের একটি সেতু নির্মাণ করছে সেতু বিভাগ। গত ৯ বছরে এ দুই সংস্থার প্রকল্প পরিচালক হয়ে এসেছেন ৭ থেকে ৮ জন। তবুও নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু ও সমাপ্ত হয়নি।
পথচারী, পরিবহন যাত্রী ও চালকরা জানান, ২০১৮ সালের শুরু থেকে সড়কে ভোগান্তি আর দুর্ভোগ বেড়েছে। সড়কের উপরে কাজের কারণে বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এসব গর্তে পানি জমে যায়। এতে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। গর্তে বাসের চাকা আটকে পড়ে। দিনভরই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। বৃষ্টি হলে এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। টঙ্গী থেকে গাজীপুর এলাকার অবস্থা আরো বেশি খারাপ। বড় বড় গর্তের কারণে যানবাহন উল্টে যাওয়ার ভয়ে চালকরা যেতে সাহস পাচ্ছেন না। এতে নানা সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।
জামাল উদ্দিন নামের একজন বলেন, ৪/৫ বছর ধরে গাজীপুর থেকে উত্তরা পর্যন্ত রাস্তায় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। এজন্য এখন ঢাকায় আসতে মন চায় না। এমনিতে এই পথে সবসময় যানজট থাকে, তার মধ্যে খোঁড়াখুঁড়ি ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। এতে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর সড়কের মানুষ দিশাহারা।
এদিকে, গত ৩রা সেপ্টেম্বর বৃহত্তর ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি জানান, বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। আগামী বছরের ডিসেম্বরে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ‘বিআরটি’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মিয়মান বিআরটি করিডোর নিয়ে সংস্থাটি জানায়, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটি অনুমোদনের পর নকশা প্রণয়ন, দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদার নিয়োগের পর ২০১৭ সালের এপ্রিলে পূর্ত কাজ শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে প্রথম পর্যায়ে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ডিজাইন ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তুত, পরামর্শক নিয়োগ, ডিজাইন প্রস্তুতকরণ ও অনুমোদন, বিডিং ডকুমেন্টস প্রস্তুতকরণ, মূল্যায়ন ও পরিকল্পনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ঠিকাদার নিয়োগ ও সেবা ক্রয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ২০১৭ সালে থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সর্বশেষ চতুর্থ পর্যায়ে ২০২৩ সালে বিআরটি সিস্টেম চালুকরণ করা হবে।
বিআরটি জানায়,  প্রকল্পের আওতায় ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক, ৬টি ফ্লাইওভার ও ২৫টি বিআরটি স্টেশনসহ মোট ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার করিডোর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে। এ করিডোরে দুইটি সংরক্ষিত বিআরটি লেন, চারটি মিক্সড ট্রাফিক লেন, দুইটি অযান্ত্রিক লেন, পথচারীদের জন্য ফুটপাথের ব্যবস্থা থাকবে। বিআরটি করিডোরের উভয়পার্শ্বে যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য ৬৫টি সংযোগ সড়ক ইতিমধ্যে উন্নয়ন করা হয়েছে। মূল করিডোর ও সংযোগ সড়কসমূহের উভয়পার্শ্বের পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। সংরক্ষিত লেনে নির্দিষ্ট সময় পরপর অধিক যাত্রীধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ১২ মিটার দীর্ঘ স্ট্যান্ডার্ড এসি বাস চলাচল করবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য স্টেশনে লিফটের ব্যবস্থা থাকবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এটিই হবে ঢাকা ও গাজীপুর মহানগরীর মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রথম বাসভিত্তিক আরামদায়ক গণপরিবহন। বিআরটি কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়া নিশ্চিতভাবে ৩৫ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছাতে পারবে। প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিকে ২০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম হবে।
বিআরটি কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, ব্যস্ততম করিডোরে যান চলাচল সচল রেখে নির্মাণ কাজ চালিয়ে নেয়া একটি দূরূহ কাজ। ভূমি অধিগ্রহণ, ভূগর্ভস্থ ও ওভারহেড ইউটিলিটি স্থানান্তর এবং বিদ্যমান সড়কের অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হয়েছে। এছাড়া নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অপর্যাপ্ত অর্থ প্রবাহের কারণে নির্মাণ কাজের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন হয়নি। করোনার কারণে বিভিন্ন সময়ে প্রকল্পের অগ্রগতি বিঘ্নিত হয়েছে।
পরিকল্পনাবিদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান কালের খবরকে বলেন, এই প্রকল্প দীর্ঘায়িত হওয়াতে জনভোগান্তি বেড়েছে মাত্রাতিরিক্তভাবে। একইসঙ্গে প্রকল্প ব্যয়ও বেড়েছে অনেক। এই প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতিগুলো এই প্রকল্পের উপযোগীতা অনেকাংশে হ্রাস করেছে। এখান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে অন্যান্য অবকাঠামোগত প্রকল্পে এ ধরনের জনভোগান্তি কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত। বিআরটি প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতার পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক কালের খবরকে বলেন, যেখানে বিআরটি প্রকল্পটি হচ্ছে এটি আরবান এরিয়া নয়। এটা বাণিজ্যিক ও ন্যাশনাল করিডোর। এখানে বিআরটি প্রকল্প হওয়ার কথা না। অথচ সেখানেই হয়েছে এই প্রকল্পটি। সমন্বয়হীনতার কারণে এমনটি হয়েছে। এই প্রকল্পে দীর্ঘ সময় ব্যয় করছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এখানে পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। এসব প্রকল্পে সরকারের উন্নয়ন দর্শনের কোনো গাইডলাইন নেই। ফলে জনদুর্ভোগ জন যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে। এটা একটা অভিশাপ।
তিনি বলেন, এসটিপিতে এখানে বিআরটি ছিল না। সরকার ভুল জায়গায় বিআরটি করছে। গাজীপুর চৌরাস্তায় দুটি ন্যাশনাল হাইওয়ে ক্রস করেছে। ওখানে যে ফ্লাইওভার বানানো হয়েছে তাতে ন্যাশনাল হাইওয়ের ডিমান্ড ফিলাপ করে না। ভবিষ্যতে ভোগরা, আবদুল্লাহপুর ও চৌরাস্তা এলাকার মানুষ নানা অসুবিধায় পড়বেন। বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি কাজের মধ্যে সমন্বয় না হওয়ায় কাজ শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে। এই প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ করতেই আড়াই বছর সময় লেগেছে। যার কোনো যৌক্তিকতা নেই। একটি প্রকল্প শুরু করার আগে সরকারকে কম খরচে বেশি সুযোগ সুবিধা দেখায়। সরকার যখন পরিকল্পনা ছাড়া কাজে হাত দেয় তখন বাস্তবে খরচ ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। এছাড়া এই প্রকল্পে যারা পিডি হয়েছেন, অনেকেই এই কাজ কোনোদিন করেননি। তাহলে তাকে দিয়ে কাজ যথা সময়ে কীভাবে আদায় হবে। সরকারও তাকে ট্রেনিং দিয়ে দেয়নি। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে পিডি বানানোর আগে প্রিরিকুজিট থাকা দরকার। যাদের বয়স কম তাদেরকে এই দায়িত্ব দেয়া উচিত।
এদিকে, ঢাকা বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিডেট (বিআরটি) প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম কালের খবরকে বলেন, প্রকল্পটি ২০১২ সালের ২০শে নভেম্বর একনেক সভায় অনুমোদন পেলেও আমরা মূল কাজটি ২০১৮ সালে শুরু করতে পেরেছি। এর আগে ডিজাইন করতে সময় লেগেছে। যন্ত্রপাতি আনতেও অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়েছে। রাস্তার দুইদিকে ড্রেন করতে হয়েছে। অনেক সময় বৃষ্টির কারণে কাজের ক্ষতি হয়েছে। মূল কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তেমন একটা সময় দেরি হয়নি। এর মধ্যে ঠিকাদারদের ফান্ড নিয়েও কিছুটা সময় অতিবাহিত হয়েছে। আমরা কাজটিকে দ্রুত এগিয়ে নিতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। অনেক বড় একটা কাজ শেষ করার জন্য কিছুটা সময় লাগছে। প্রকল্পের নকশা ও রাস্তার ডিজাইন তো পরিবর্তন হতেই পারে। কিছু ভুল থাকতেই পারে। এসব কাটিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি ২০২২ সালের ডিসেম্বর কিংবা তার আগেই পুরো কাজ সমাপ্ত করতে পারবো। তিনি বলেন, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। এখন আর বেশি সময় লাগবে না। কাজটি শুরু করতেই কিছুটা সময় গেছে। এখন অনেকটা দৃশ্যমান। দ্রুতগতিতে কাজ শেষ হবে। যানজট আর ভোগান্তি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। সড়কের উপরে কাজ চলমান থাকায় এইপথে অনেক যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। আশা করি এ ভোগান্তি বেশিদিন থাকবে না। এরপর মানুষ যাতায়াতে সুবিধা পাবেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com