শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেখ মো.সোহেল রানা মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, কালের খবর : মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় গভীর রাত পর্যন্ত গান-বাজনায় বাধা দেওয়ায় মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনায় মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় আলেম-ওলামারা। গত রবিবার দুপুর ১২টার দিকে লৌহজং-বালিগাঁও-মুন্সীগঞ্জ সড়কের খেতেরপাড়া বাসস্ট্যান্ডে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসার ইমাম ও আলেম-ওলামারা মানববন্ধন করে হামলাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন। পরে খবর পেয়ে লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় ওসি আলমগীর ও খিদিরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানববন্ধনে নেতত্বৃদানকারী মাওলানা আহমাদুল্লাহ খানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিলে আন্দোলনকারীরা মানববন্ধন প্রত্যাহার করেন।
হামলার শিকার ইমাম মো. মনিরুজ্জামান জানান, গত বুধবার রাতে লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের খেতেরপাড়া জামে মসজিদ লাগোয়া একটি বিয়েবাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। গভীর রাত পর্যন্ত সাউন্ড সিস্টেমে উচ্চস্বরে গান ও ভাটাটিয়া মেয়ে নিয়ে উদ্দাম নৃত্য করছিল গায়েহলুদে অংশগ্রহণকারীরা। রাত ১২টার পরে আমি ওই বাড়িতে গিয়ে অল্প ভলিউমে গান-বাজনা করার অনুরোধ করি। এ সময় কতিপয় যুবকেরা আমাকে গালিগালাজ করলে আমি চলে আসি। পরে ঘটনা শুনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, কিন্তু ইমাম মনিরুজ্জামান শুক্রবার খুতবার আগে গায়ে হলুদের নামে বর্তমান সময়ে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চস্বরে গান-বাজনা, উদ্দাম নৃত্য ও মাদকগ্রহণ সম্পর্কে বয়ান করেন। এ খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার বিকেলে বিয়েবাড়ির মো. আলমের দুই ছেলে বাপ্পী ও রাব্বির নেতৃত্বে ৮-১০ জন মসজিদের সীমানার ভিতরে ঢুকে ইমামকে কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। আর এ ঘটনায় স্থানীয় আলেম-ওলামা ও মসজিদের ইমামেরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ মানববন্ধন করেন।