শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে বারণ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত পাঁচ। কালের খবর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত আম গাছ কাটল দূর্বৃত্তরা। কালের খবর বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার প্রজেক্টের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র মতবিনিময়। কালের খবর রায়পুরায় মরহুম ডাঃরোস্তাম আলীর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে রায়পুরাতে দোয়া ও ইফতার। কালের খবর রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে গুনীজনদের আলোচনা সভা সম্পন্ন। কালের খবর আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর সাতক্ষীরার সুন্দরবন রেঞ্জে ২৪ জন হরিন শিকারীর আত্মসমর্পণ। কালের খবর
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ট্যাংক বিধ্বংসী ১০টি রকেট গোলা উদ্ধার

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ট্যাংক বিধ্বংসী ১০টি রকেট গোলা উদ্ধার

কালের খবর : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালিয়ে ট্যাংক বিধ্বংসী ১০টি রকেট গোলা উদ্ধার করেছে র‌্যাব। বেশ কয়েকটি বাংকার খুঁড়ে ১টি বাংকার থেকে এসব গোলা উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব-৯ কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদের নেতৃত্বে শুক্রবার রাত থেকে এ অভিযান চালানো হয়।

শনিবার  সংবাদ সম্মেলন করেন র‌্যাব মিডিয়া উইংয়ের প্রধান মুফতি মাহমুদ খান।

মুফতি মাহমুদ খান জানান, গোয়েন্দা নজরদারীর ভিত্তিতে অভিযান চালায় র‌্যাব। কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হয়তো এগুলো এখানে এনে জড়ো করেছিল। কিন্তু তারা তা ব্যবহারের সুযোগ পায়নি।
তিনি বলেন, সাধারণ সন্ত্রাসীরা এগুলো ব্যবহার করার জন্য এখানে নিয়ে আসেনি। দেশে এবং দেশের বাইরের যেকোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেন কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সে জন্য আমরা সচেষ্ট আছি। ২০১৪ সালে ৫ দফা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবারও গোয়েন্দা তথ্য ছিল এখানে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ রয়েছে। আমরা বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট দিয়ে সন্দেহজনক সবগুলো স্থানে সার্চ করে একটি বাংকার থেকে প্লাস্টিকের কন্টেইনারে মোড়ানো ট্যাংক বিধ্বংসী ১০টি রকেট গোলা উদ্ধার করি। রাত থেকে যেহেতু অভিযান চালানো হয়েছে, তাই আজ অভিযান সমাপ্ত করা হচ্ছে। কিন্তু গোয়েন্দা নজরদারী থাকবে।

তিনি বলেন, আরও দুই একটি স্পটে আজই সার্চ করা হবে। অস্ত্রের উৎস জানতে বেশ কিছু সময় লাগবে। আগের অস্ত্রের সঙ্গে এগুলোর মিল রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগেও একই ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে এগুলো আগের গুলোর মতো কি-না তা এখনই বলা যাবে না। কতদিন আগে এগুলো এখানে রাখা হয়েছিল তাও এখনই বলা সম্ভব নয়। দেশীয় সন্ত্রাসীরা এর সাথে সম্পৃক্ত কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মনে হয়না। কারণ এগুলো সাধারণ সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করার মতো নয়।

শুক্রবার রাত থেকে র‌্যাব-৯ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহিন বনে অভিযান চালায়। এ সময় বেশ কয়েকটি বাংকার খুড়া হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত টানা অভিযান চালানো হয়। এরপর ২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায়, ১৭ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফা এবং ১৬ ও ১৭ অক্টোবর চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ১২টি বাংকার ও ৩টি গর্ত থেকে মেশিনগান, রকেট লঞ্চার, রকেট চার্জার, বিমান বিধ্বংসী বুলেট, ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট গোলাসহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে উদ্ধার করা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহৃত ডায়রি, বই, চাঁদার রশিদসহ মালামাল। এ ঘটনায় পৃথক ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে প্রতিটি মামলারই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com