শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর থেকে মিজানুর রহমান মিজান, কালের খবর : পেশায় একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেন মানুষের মতো মানুষ হতে। কিন্তু তিনি নিজেই সার্বক্ষণিক অমানুষের কাজে লিপ্ত থাকেন। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার দীঘলবাগ (খ) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দ্বারা এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনা ঝড় বইছে।
পুলিশের এজাহার সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের মাহমুদ নগর গ্রামের মৃত গণেশ তালুকদারের ছেলে অঞ্জন তালুকদার, তিনি বর্তমানে জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের দীঘলবাগ (খ) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেছেন। গত ১৭ এপ্রিল সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার লাক্কাতুরা গ্রামের পাকা রাস্তার পাশ থেকে মদ খাওয়া অবস্থায় র্যাব ৯ গ্রেফতার করেন। পরে তিনি প্রায় একমাস জেল হাজতে থেকে জামিনে বেড়িয়ে আসেন।
বিদ্যালয়ের সহ সভাপতি সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসারের দরখাস্ত থেকে জানা যায়, তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকতেন। প্রায় সময় মদ পান করে বিদ্যালয়ে এসে অভিভাবক সহ শিক্ষার্থীর সাথে বাজে ব্যবহার করতেন। তিনি ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ের স্লিপের টাকা আত্নাসাৎ করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, একজন শিক্ষক যদি মাদকে আসক্ত হয় এবং মদ পান করে তাহলে ছাত্রদের কি শিক্ষা দিবে। নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসতেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি রাগান্তি হতেন। তিনি বলেছিলেন আমি কাউকে ভয় পাইনা। আমার ইচ্ছামত বিদ্যালয় বন্ধ করবো চালু করবো। বড় খারাপ লোক এই প্রধান শিক্ষক।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অভিভাবক কমিটির সহ-সভাপতি আখলাকুর রহমান খান জানান, একজন শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। তিনি যদি নিয়মিত মদ পান করে বিদ্যালয়ে আসেন? জাতি তার কাছ থেকে কিভাবে শিক্ষিত হবে। এ ছাড়াও উনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে আমি অভিভাবকের পক্ষে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে দরখাস্ত দিয়েছি। এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই উপজেলায় আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নাই। আগামী কাল বিস্তারিত জেনে আপনাদের জানানো হবে।##