রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কত টুকু। কালের খবর দেবিদ্বারে মাদক কারবারী দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর মানববন্ধন। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় জোন কমান্ডারস কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গুইমারা ইউনিয়ন একাদশ। কালের খবর বাংলাদেশের রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা ও তারেক রহমান। কালের খবর ‌‌সম্প্রীতি সমাবেশ। কালের খবর সড়ক ও জনপদের ৩য় শ্রেণির কর্মকর্তার সম্পদের পাহাড়। কালের খবর  পেশাদার সাংবাদিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে কাজ করছে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার : এম আব্দুল্লাহ। কালের খবর সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে শাহজাদপুরে মানববন্ধন। কালের খবর ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে হবে : ইউএনও মনজুর আলম। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান। কালের খবর
ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ, চট্টগ্রামে ৮ পুলিশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর

ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ, চট্টগ্রামে ৮ পুলিশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর

 চট্টগ্রাম ব্যুরো, কালের খবর :

চাহিদামতো টাকা না পেয়ে ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বায়েজিদ বোস্তামী থানার ৮ পুলিশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ জুলাই রাত ৮টার দিকে বায়েজিদ থানার ৮ পুলিশ সদস্য সিভিল পোশাকে বায়েজিদ মুরাদনগর জামাল কলোনির ১৫ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে। পুলিশ সদস্যরা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আসার কথা জানায়। এ সময় মামলার বাদী আব্দুল ওয়াহেদ তার আরও তিন সঙ্গীকে নিয়ে একটি জমি বিক্রির বিষয়ে আলোচনা করেন। পুলিশ সেখান থেকে আবদুল ওয়াহেদসহ চারজনকে মারতে মারতে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানা হাজতে আনার পর আব্দুল ওয়াহেদ ও মো. হোসেনের বিকাশের পিন নম্বর দেয়ার জন্য চাপ দেয় পুলিশ। এতে অস্বীকৃতি জানালে আব্দুল ওয়াহেদ ও তার সঙ্গীদের মারধরের হুমকি দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের ফোন করে থানায় আসতে বলে। খবর পেয়ে আব্দুল ওয়াহেদের ভাই ছিদ্দিক, বোন মনি আক্তার ও শারমিন আক্তার থানায় আসেন।

তাদের কাছে আটককৃত চারজনকে থানা থেকে ছাড়াতে জনপ্রতি ২ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করে। এসআই শরীফ বলে- আমরা রিকশাওয়ালাকে ধরে আনলেও ৮০ হাজার টাকা করে নিই। টাকা না দিলে দুই-চারটা মামলা দিয়ে চালান করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। তখন এসআই নুরন্নবী মামলা হয়ে গেছে এবং মামলা হালকা করে দেবে মর্মে আবদুল ওয়াহেদের বড় বোনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে চাহিদার টাকা না পেয়ে আবদুল ওয়াহেদকে ২৫ পিস, মো. হোসেনকে ২০ পিস, মো. হানিফকে ১৫ পিস ও আবুল হোসেনকে ২০ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দেয়া হয়। বায়েজিদ থানায় যার মামলা নম্বর-১৮(০৭)২০২০।

 মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. আলমগীর কালের খবরকে  বলেন, ‘বাদীসহ চারজনকে বায়েজিদ থানা পুলিশ সাদা পোশাকে গত ১২ জুলাই রাতে আটক করে। এরপর তাদের প্রতিজন থেকে ২ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় ক্রসফায়ার ও মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। পরবর্তীতে তারা পুলিশের চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় প্রতিজনকে ২০ পিস, ১৫ পিস করে ইয়াবা দিয়ে মামলা দেয়া হয়। অথচ অভিযানে তাদের কাছ থেকে কোনো ইয়াবা পাওয়া যায়নি। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে বায়েজিদ থানার ৮ পুলিশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনারকে (উত্তর জোন) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার ও পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com