রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কত টুকু। কালের খবর দেবিদ্বারে মাদক কারবারী দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর মানববন্ধন। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় জোন কমান্ডারস কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গুইমারা ইউনিয়ন একাদশ। কালের খবর বাংলাদেশের রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা ও তারেক রহমান। কালের খবর ‌‌সম্প্রীতি সমাবেশ। কালের খবর সড়ক ও জনপদের ৩য় শ্রেণির কর্মকর্তার সম্পদের পাহাড়। কালের খবর  পেশাদার সাংবাদিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে কাজ করছে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার : এম আব্দুল্লাহ। কালের খবর সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে শাহজাদপুরে মানববন্ধন। কালের খবর ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে হবে : ইউএনও মনজুর আলম। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান। কালের খবর
‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে ছাত্রীকে হত্যার হুমকি। কালের খবর

‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে ছাত্রীকে হত্যার হুমকি। কালের খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের ভয়-ভীতি ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ছাত্রী ও তার মাকে এই হুমকি দেন অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের ভাই আরিফুল ইসলামসহ তার সহযোগীরা।

এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই ছাত্রীসহ তার পরিবারের লোকজন। পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডির অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ছাত্রী ও তার মা পাশের এলাকা জয়নগর বাজারে তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে করে এসে সাইফুলের বড় ভাই আরিফুল ও তার সঙ্গে থাকা আরও ৫/৬ জন অপরিচিত যুবক তাদের পথরোধ করেন।

আরিফুল এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজন ওই ছাত্রী ও তার মাকে বলেন, তাড়াতাড়ি মামলা তুলে না নিলে মা-মেয়ে দুজনকেই কেটে টুকরো করে মাটিতে পুতে ফেলব। কেউ তোদের বাঁচাতে পারবে না। এ সময় অকথ্য ভাষায় তাদের গালিগালাজ করে ওই ছাত্রীর বোরকা ও হিজাব ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করেন তারা। ভয়ে ছাত্রী ও তার মা চিৎকার শুরু করে আরিফুল ও তার লোকজন পালিয়ে যান।

প্রসঙ্গত, উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শিকার হন অনার্স পড়ুয়া ওই ছাত্রী। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বাড়ি একই ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে। এ ঘটনায় সাইফুলকে ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করেন এবং বিয়ে করতেও অস্বীকৃতি জানান। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সালিশ ডাকা হয়। সেখানে অভিযুক্তকে দেড়লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ওই ছাত্রী এ রায় না মেনে সাইফুলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

 

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com