(বন্দর প্রতিনিধি) : ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বন্দর উপজেলাধীন মদনপুর বাস স্ট্যান্ডটি বর্তমানে দেশের যোগাযোগ মাধ্যমের একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবে মনে করা হয়, আর এ জন্য যানবাহনের চাপে প্রতিনিয়ত জানযট, দূর্ঘটনা সহ জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। সূত মতে, দেশের পূর্বাঞ্চল ও মদনপুর হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত এশিয়ান হাইওয়ে ব্যবহার করে দেশের উত্তরবঙ্গ থেকে পূর্ববঙ্গে মালামাল পরিবহনে মদনপুর সর্বসময় ভারী যানের চলাচলে সরগরম থাকে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামমাত্র উদ্যোগ গ্রহণ ও যানজট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে অভিহীত করা হচ্ছে।
শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় বিকেল ৪ টায় কর্মব্যস্ত মানুষ বাজার, বিভিন্ন অনুষ্ঠান সহ অন্যান্য কাজে মদনপুরে আনাগোনা বেড়ে গেলে এবং জেলার ১জন পুলিশ দিয়ে এ যানব্যস্ত মহাসড়কের জট নিরসনের কাজ করা হলে তা বিশাল যানজটের আকার লাভ করে এবং হাইওয়ে পুলিশের উপর এর গুরুদায়িত্ব থাকলেও তেমন কাউকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। বিভিন্ন রুটের গাড়ি এলোপাথারি রেখে দেয়ায় এবং যে যার মত আগে যাবার মহড়া দিতে থাকায় বিশাল যানজট সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশু, নারী, বৃদ্ধ সহ অনেককে পায়ে হেঁটে রাস্তা পারাপার হতে দেখা যায়। বিশেষ করে রাস্তা পার হবার সময় প্রায়ই মদনপুরে দূর্ঘটনায় নিহত হবার মত ঘটনা ঘটছে। অতি সম্প্রতি মদনপুর আল-বারাকা হাসপাতালের এমপি সালাউদ্দিন ও তার সহযোগি রাস্তা পার হাবার সময় ট্রাকের ধাক্কায় আহত হবার ১ দিন পর মারা যায়। ১টি ওভারব্রীজের অভাবে দিনের পর দিন সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। বহুবার গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষের এমন নিরব ভূমিকা হতবাক করেছে সবাইকে। অচিরেই ১টি ফুটওভারব্রীজ নির্মাণ করার মাধ্যমে জনগণের রাস্তা পারাপারের সংকট নিরসনে এমপি সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী সবাই।