শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা কপালপোড়া জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত। কালের খবর মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে জামাল-মুকুট। কালের খবর তিল ধারণের ঠাঁই নেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কালের খবর আমতলীতে ভূমি দস্যুর অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন। কালের খবর নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচন সম্পন্ন : সালাম সভাপতি, ছনি সম্পাদক নির্বাচিত। কালের খবর সীতাকুণ্ডে জামায়াত নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ। কালের খবর আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে কালভার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি। কালের খবর
রমজানের শুরুতেই নিত্য পণ্যের বাজার চড়া। কালের খবর

রমজানের শুরুতেই নিত্য পণ্যের বাজার চড়া। কালের খবর

এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর :

করোনার মধ্যে আবারও নিত্যপণ্যসহ সব রকমের মাংস ও মাছের দাম বেড়েছে। রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে ২৩ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বৈঠকে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না বলে ব্যবসায়ীরা আশ্বাস দেন। এরপরেও ছোলা, চিনি, খেজুর ও সয়াবিনসহ নিত্যপণ্য বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার ও শনিবার যাত্রবাড়ী, মাতুয়াইল, রায়েরবাগসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যসহ সব রকমের মাংস ও মাছের দাম চড়া। তবে আদার দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে রসুনের দাম।

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাংস। গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা। খাসির মাংস কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ছাগলের মাংস কেজি ৭৫০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭২০ টাকা।

মুরগির কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৪০ টাকা। লেয়ার ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭৫০ থেকে ১৯৫ টাকা। সোনালি ২৫০ থেকে ২৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৪০ টাকা।

প্রতি কেজি মাছে ১০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি কেজি মলা ৩৪০ থেকে ৩৮০ টাকা, পুঁটি ৪৮০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বাগদা ৪৮০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাঁচকি ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা রুই ২৮০ থেকে ৬৫০ টাকা, কাতল ২১০ থেকে ৪৫০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাস ১৩০ থেকে ১৯০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৯০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ইলিশ কেজি প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা থেকে ৮০০, ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩৮০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ডাল ও খোলা সয়াবিন। খোলা সয়াবিন (লাল) কেজি ১০০ থেকে ১১৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯০ খেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা লিটার। ডাবরি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। অ্যাঙ্কর ৫০ থেকে ৬০ টাকা। দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৪০ টাকা। মসুর (মোটা) ৭৫ থেকে ৯০ টাকা। ছোলা ৭৫ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

দাম বেড়েছে শসা ও বেগুনের। প্রতি কেজি বেগুন (প্রকারভেদে) ৪০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ধনিয়াপাতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা। পুদিনা পাতা ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লেবু (ছোট) ২০ থেকে ৩০ টাকা, বড় লেবু ৬০ থেকে ৭০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫ থেকে ৩০ টাকা। করলা ২৫ থেকে ৪০ টাকা, উস্তা ৩০ থেকে ৫০ টাকা, গাঁজর ২৫ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩৫ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, সিম ৪০ থেকে ৫৫ টাকা,বিক্রি হচ্ছে। আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শাক প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, বাঁধা কপি (গ্রিন) ৪০ থেকে ৭০ টাকা ।

আদার দাম কিছুটা কমেছে। এক সপ্তাহ আগে আদা ৩০০ টাকা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ ২৭০ (দেশি) থেকে ২৯০ (চায়না) টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের কিছুটা দাম বেড়েছে। দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। চায়না রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। পিঁয়াজের দাম বাড়েনি। এক সপ্তাহ আগের দামে পিঁয়াজ ৫০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, রমজানের আগে কিছু অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করে নিচ্ছেন। বিক্রেতারা বলছেন, করোনার কারণে পণ্যের আমদানি না থাকায় বেড়েছে দাম।

গোলাম মোস্তফা বাবুল নামে রায়েরবাগ বাজারের এক ক্রেতা বলেন, এক দিকে করোনা আতঙ্ক। অন্যদিকে রমজান শুরু। পণ্যের বাড়ায় সাধারণ মানুষ টেনশনে পড়েছেন।

রায়েরবাগের মোহাম্মাদীয়া মুদি দোকানের প্রোপাইটার হাজী বেলাল হোসেন বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের মালামালের সংকট রয়েছে এজন্য অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com