শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ভুমিকা রাখবে বাঁশরী ওয়াদুদ ফুটবল টুর্নামেন্ট : ওয়াদুদ ভূইয়া। কালের খবর গুইমারায় অস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। কালের খবর মাকে ৭ বছর পর পেয়ে জড়িয়ে ধরলেন তারেক রহমান। কালের খবর জমি দখলে বেপরোয়া রুহুল আমিন হাওলাদার। কালের খবর মাটিরাঙায় সেনা অভিযানে ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দ। কালের খবর দুর্গম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেনাবাহিনীর শিক্ষা উপকরণ বিতরণ। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় তারুণ্যের উৎসবে বর্ণাঢ্য র‍্যালি। কালের খবর খাগড়াছড়িতে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। কালের খবর মুন্সিগঞ্জে জাতীয় পার্টির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত। ।
শত কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক সওজ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী বিশ্বাস। কালের খবর

শত কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক সওজ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী বিশ্বাস। কালের খবর

বিশেষ প্রতিবেদক, কালের খবর :

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী বিশ্বাস। তার বর্তমান কর্মস্থল গোপালগঞ্জ। তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন সার্কেল ও জোনে দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে শত কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক বনে গেছেন। তিনি খুলনা শহরে প্রেস ক্লাবের সামনে ১০ তলা বিশিষ্ট একটি আলীশান বাড়ী নির্মান করেছেন। এই বাড়ীর বর্তমান মুল্য ৩০/৪০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বয়রাতে তার স্বামীর সাথে ৫ কাঠা জমি কিনেছেন যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকা। তার বাবার বাড়ী তেরখাদায় আলীশান বাড়ী ও মন্দির নির্মাণ করেছেন। যার মুল্য কয়েক কোটি টাকা। তার আরেক ভাই মুক্তি দাসকে দিয়ে তার সকল অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তার খুলনার বাড়ীর পাশেই তার বোন লিপি দাসকে একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন। যার মুল্য কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকা। বাবা,মা,ভাই, বোন ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের নামেও প্রচুর সম্পদ করেছেন। ভারতে তার ভাই দেবদাস এর নামে প্রচুর জমি ক্রয় ও বাড়ী নির্মাণ করেছেন।
দুর্নীতির দায়ে ২০১২ সালে তিনি চাকুরী থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। পরে রাজনৈতিক তদবীরে চাকুরী ফিরে পান। ২০১৮ সালে তার এই সম্পদের বিষয়ে নড়াইলের একজন ঠিকাদার দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করলে সেটি তদন্ত করে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪৬৬ টাকার অবৈধ সম্পদের সত্যতা পায় দুর্নীতি দমন কমিশন। এ বিষয়ে উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে রমনা থানায় দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুছ ছাদাত। কিন্তু মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে দায়মুক্তি মিলে যায়। প্রকৌশলী তাপসী বিশ্বাসের অবৈধ সম্পদ খুলনা শহরে দৃশ্যমান থাকলেও তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুদকের ওপর থেকে খুলনাবাসীর আস্থাই উঠে যায়। এ ছাড়া ভারতেও তাপসী বিশ্বাসের বাড়ী ও মার্কেট আছে বলে শোনা যাচ্ছে। দুদুক যদি এ বিষয়টি পুন: অনুসন্ধান করে তবে তাদের থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে এটা নিশ্চিত এমটিই মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী বিশ্বাস বলেন, চাকুরী জীবনে তিনি কোন অসৎ পথ অবলম্বন করেন নি। যা বেতন পেয়েছেন আর কিছু আত্মীয় স্বজনের ধারে তিনি বাড়ীটা করেছেন। মার্কেটের জমিও আজ থেকে ১৫ বছর আগে কেনা বলে তিনি দাবী করেন। দুদকের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি প্রসংগে তিনি বলেন, দুদক তদন্ত করে আমার সব কাগজপত্র সঠিক পেয়েই দায়মুক্তি দিয়েছে। তবে প্রকৌশলী প্রদীপ বসু ও তাপসী বিশ্বাসের এসব বক্তব্য সমর্থন করেননি এলাকার সচেতন মহল। তারা দৃঢ়তার সাথে বলেন যে, দুদক যদি আবার পুন: অনুসন্ধান করে তবে তারা দুজনেই ফেঁসে যাবেন। এ ক্ষেত্রে তারা দুদক চেয়ারম্যানের পদক্ষেপ কামনা করেছেন। (চলবে)

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com