ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫ নবীনগর আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল মেঘনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি লঞ্চঘাটের পূর্ব পাশের বাধ থেকে মানিকনগর বাজার বাধ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় নদী ভাঙনের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ি, ফসলী জমি,গাছপালাসহ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
তবে এলাকাবাসী জানান উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়ন শ্রীঘর, কান্দাপাড়া, চিত্রি, নবীপুর ও চরলাপাং, বীরগাঁও ইউনিয়নের বাইশমৌজা, নজরদৌলত, কেদারখোলা ও দাসকান্দি। উল্লেখযোগ্য ঐসব গ্রামগুলোর অর্ধলক্ষাধীক মানুষ দীর্ঘকাল ধরে নদীর সঙ্গে একান্ত হয়ে বসবাস করছেন এ সব গ্রামের নদীর তীরবর্তী অংশগুলো সারা বছরই কমবেশী ভাঙ্গনের কবলে থাকে। তবে বর্ষাকালে এ সব এলাকায় নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ লাভ করে। সে সময় ওইসব এলাকার নদীর পাড়ের মানুষেরা অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের ভয়ে সর্বদাই থাকেন আতংকে। তবে মেঘনার অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ইতিমধ্যে এলাকার বিত্তশালীরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছেন বলে জানান
এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকালে বড়িকান্দি লঞ্চঘাটে আয়োজিত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় সাবেক যুগ্ম সচিব মতিউর রহমান( জায়েদ)এর সভাপতিত্ব প্রধান অতিথির বক্তব্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল বলেন মেঘনা নদীর ভাঙ্গন অতি শ্রীঘই বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে এই ভাঙ্গন রোধের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে বড়িকান্দি ও শ্রীঘর কান্দাপাড়া গ্রামের শতশত লোকজনকে আশ্বাস প্রদান করেন। বক্তব্য রাখেন দেওয়ান আফতাবুল আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম, আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুর রহমান সোহেল, আওয়ামীলীগ নেতা শফিউল আলম,হেলালউদ্দিন ভূইয়া প্রমূখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ রনোজিত রায়,জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য গোলাম শাহরিয়ার বাদল, ওসি ইলিয়াস, বড়িকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি লুৎফর রাহমান লাল মিয়া প্রমূখ।