মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক গ্রেফতার, অত:পর মুক্তি। কালের খবর মুরাদনগরে তীব্র গরমে একই বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ। কালের খবর ফায়ার ও পরিবেশ ছাড়পত্র জানতে চাওয়াতে ম্যানেজার সাকিল, সাংবাদিকের সাথে অশুভ আচরণ। কালের খবর সাতক্ষীরার আলীপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুর রউফ বিজয়ী। কালের খবর মুরাদনগরে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ১জন নিহত। কালের খবর স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা জরুরি। কালের খবর সাতক্ষীরায় চার পিচ স্বর্ণের বার সহ আটক এক। কালের খবর সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই। কালের খবর তারুণ্যের অহংকার ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত। কালের খবর এক দফার আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে বর্তমান যুবদল সরকারের সাথে আঁতাত করেছিল : অভিযোগ সাবেক নেতাদের। কালের খবর
ভূরুঙ্গামারীতে বিলুপ্তির পথে কাউন চাষ, তথ্য নেই কৃষি কর্মকর্তার দপ্তরে। কালের খবর

ভূরুঙ্গামারীতে বিলুপ্তির পথে কাউন চাষ, তথ্য নেই কৃষি কর্মকর্তার দপ্তরে। কালের খবর

মোঃ মনিরুজ্জামান,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, কালের খবর : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিলুপ্তির পথে কাউজ চাষ।এক সময় উপজেলার দশটি ইউনিয়নের গ্রামেগঞ্জে ব্যাপক চাষ হলেও বর্তমানে কাউন চাষে কৃষকের আগ্রহ না থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে কাউন।স্বল্প খরচ, সহজ চাষ পদ্ধতি ও পানি সাশ্রয়ী হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঠিক তদারকির অভাবে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই ফসলটি আজ বিলুপ্তির পথে। এমনকি উপজেলায় কাউন চাষের কোন তথ্য নেই কৃষি কর্মকর্তার দপ্তরে। ফসলটি যেন কালের গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। সুস্বাদু একটি ফসলের নাম কাউন। মানুষজন কাউন চালের সঙ্গে রান্না করে খায়, হরেকরকমের পিঠা ,খীর, পায়েস , খিচুরী , মলাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি হতো কাউন থেকে। ফসলটির শুকনো জমিতে ঝুরঝুরে চাষের পর চৈত্র মাসে বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হয়। জৈষ্ঠ্য- আষাঢ় মাসে ফসল ঘরে ওঠে । এতে কোন সেচের প্রয়োজন হয় না। ফলন হয় বিঘাপ্রতি ১০-১২ মণ। কাউনের শীষ ছিঁড়ে নিয়ে যাওয়ার পর বাকি গাছের অংশ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য আবাদের মতোই কাউন সহযোগী ফসল হিসেবে কৃষকের আর্থিক যোগান দিতো।উপজেলার পশ্চিম ছাট গোপাল পুর গ্রামের কৃষক জয়নাল বলেন, আমাদের এই গ্রামে সবাই মরিচ, আলু , সাকসবজির ফাকে কাউন চাষ করতো । সেই কাউন বিক্রি করে সংসারের খরচ চালাতাম। এখন কাউন চাষ আর দেখা যায় না।এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে তারা জানান, দেশী জাতের এ ফসলটিকে আমাদের স্বার্থেই সংরক্ষণ করতে হবে। তা না হলে পরবর্তী প্রজন্ম জানতেই পারবে না কাউন নামটি। কাউন নামের এ ফসলটি যাতে বিলুপ্ত হয়ে না যায় এ জন্য সবার এগিয়ে আসা উচিত।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান,কাউন এখন অভিজাত ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তা ছাড়া ফলন কম হওয়ায় কৃষকেরা কাউন চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় কৃষি অফিসে তথ্য নাই।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com