শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মোঃ শহিদুল ইসলাম সুমনকে দৈনিক কালের খবরে পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। কালের খবর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে’ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা। কালের খবর “বাংলাদেশ” রাষ্ট্র বিনির্মাণে রাষ্ট্রপতি জিয়ার অবিস্মরণীয় অবদান। কালের খবর বিশ্ব ইজতেমায় সাদের উপস্থিতি নিশ্চিতসহ ৫ দফা দাবী। কালের খবর বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর কেনো গুরুত্বপূর্ণ স্থান করতে সক্ষম হয়েছিল। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর ফুলপুর প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে নবাগত ইউ এনও’র পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর রায়পুরায় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় জমজমাটে মহোৎসব নিরব ভূমিকায় পুলিশ প্রশাসন। কালের খবর রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে কুষ্টিয়ায় ট্রেন আটকে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ। কালের খবর বিএনপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর, ১৪ মাস পর সাংবাদিকসহ ৫৭ জনের নামে মামলা। কালের খবর
স্বাস্থ্যের যা ক্ষতি করে মোবাইল ফোন

স্বাস্থ্যের যা ক্ষতি করে মোবাইল ফোন

কালের খবর ডেস্ক :  মোবাইল থেকে যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকে বা তা থেকে যে বিকিরণ আসে, তা শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর? ফোনের লেডের কারণে কি টিউমার হতে পারে? এসব থেকে বাঁচার কি কোন উপায় আছে?   গত কয়েক বছর ধরেই এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও এখনো সব প্রশ্নের পুরোপুরি উত্তর পাওয়া যায়নি।   যতটুকু আমরা জানি, মোবাইল ফোন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভের ভিত্তিতে কাজ করে যা স্বল্প ক্ষমতার বিকিরণ ব্যবহার করে। এক্সরে, আলট্রা ভায়োলেট বা গামা বিকিরণে যা ব্যবহৃত হয়, এটি তারচেয়ে অনেক কম ক্ষমতার। তবে এটিও মানব শরীরে কতটা প্রভাব ফেলে, তা এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।   আমাদের চারপাশে এ রকম অসংখ্য বিকিরণ ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেমন এফএম বেতারের তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ আর বাতির বিকিরণ।   তবে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, মোবাইল ফোন হয়তো ব্রেন টিউমার বা মাথা বা গলার টিউমারের ঝুঁকি অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে।   বিশেষ করে একটি মাইক্রোওয়েভ যেভাবে কাজ করে, সেভাবে এ রকম বেতার তরঙ্গ মানুষের শরীরের কোষের উষ্ণতা বাড়িয়ে দিতে পারে।   যদিও মোবাইল ফোনের বিকিরণের মাত্রা খুবই কম এবং এটা শরীরের কোষকে কতটা উষ্ণ করতে পারে, তা পরিষ্কার নয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগাম সতর্কতা হিসাবে ফোনের কাছাকাছি কম আসাই ভালো।   জার্মান ফেডারেল অফিস ফর রেডিয়েশন প্রটেকশনের জরিপ অনুযায়ী যেসব মোবাইল ফোন থেকে সবচেয়ে বেশি বিকিরণ (এসএআর-এর মাত্রা অনুযায়ী):   ওয়ানপ্লাস ফাইভটি  ১.৬৮ হুয়াওয়ে মেট নাইন ১.৬৪ নকিয়া লুমিয়া ৬৩০ ১.৫১ হুয়াওয়ে পি নাইন প্লাস ১.৪৮ হুয়াওয়ে জিএক্স এইট ১.৪৪ হুয়াওয়ে নোভা প্লাস ১.৪১

সবচেয়ে বেশি আর কম বিকিরণ ছড়ানো মোবাইল ফোন   বিজ্ঞানীরা জানার চেষ্টা করেছেন, কোন ফোন থেকে কি মাত্রায় বিকিরণ ঘটছে? তারা একটি মাত্রাও নির্ধারণ করেছেন যে, একজন মানুষ তার শরীরে কতটা বিকিরণ গ্রহণ করতে পারে।   মোবাইল ফোনের কোম্পানি বা উৎপাদক ভেদে একেকটি ফোনের বিকিরণের মাত্রা কম বেশি হয়। ফোনের বক্সের কাগজপত্রে বা অনলাইনে এসব তথ্য থাকলেও, খুব কম গ্রাহকই সেগুলো পড়ে দেখেন। নতুন আর পুরনো ফোন মিলিয়ে বিকিরণ ছড়ানোর মাত্রার একটি তালিকা করেছে জার্মানির ফেডারেল অফিস অপর রেডিয়েশন প্রোটেকশন।   এই তালিকা অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বিকিরণ ছড়ানো ফোনের তালিকায় রয়েছে ওয়ান প্লাস আর হুয়াওয়ে। এরপরেই রয়েছে নকিয়ার ৬৩০ ফোন।   আইফোন ৭ রয়েছে তালিকার ১০ নম্বরে, আইফোন ৮ রয়েছে তালিকার ১২ নম্বরে আর আইফোন ৭ প্লাস রয়েছে ১৫ নম্বরে। সনি এক্সপেরিয়া জেডএক্সওয়ান কমপ্যাক্ট রয়েছে তালিকার ১১ নম্বরে, জেডটিই অ্যাক্সন ৭ মিনি রয়েছে ১৩ নম্বরে আর ব্লাকবেরি ডিটিইকে৬০ রয়েছে ১৪ নম্বরে।   যদিও বৈশ্বিকভাবে ফোনের বিকিরণের নির্দিষ্ট কোন মানদণ্ড নেই, তবে জার্মানিতে এজন্য মানদণ্ড হচ্ছে প্রতি কেজিতে ০.৬০ ওয়াট। তালিকায় থাকা সব ফোনেই বিকিরণের মাত্রা এর দ্বিগুণ। ওয়ান প্লাস ৫টিতে এই মাত্রা ১.৬৮ ওয়াট। সবচেয়ে কম বিকিরণ ছড়ায় সনি এক্স পেরিয়া এম৫। এরপরেই রয়েছে স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট৮, এস৬ এজ, গুগল পিক্সেল এক্সএল, স্যামসাং এস৮ আর এস৭এজ।   আপনার মোবাইল ফোনের বিকিরণ মাত্রা জানার জন্য সঙ্গের ম্যানুয়াল পড়তে পারেন, কোম্পানির ওয়েবসাইটে যেতে পারেন বা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের ওয়েবসাইটে ঢু মারতে পারেন।

কিভাবে বিকিরণ থেকে বাঁচা যায়   ফোনে অ্যান্টেনার কাছে সবচেয়ে বেশি বিকিরণ ছড়ায়। আধুনিক ফোনগুলোয় ফোনের ভেতরে পেছনে এই অ্যান্টেনা বসানো থাকে।   বেশিরভাগ মানুষ ফোন ব্যবহার করার সময় অ্যান্টেনা মাথার উল্টো দিকে থাকে। কিন্তু মাথার যতো কাছে এরই অ্যান্টেনা থাকে, ততই ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।   ধারণা করা হয়, মোবাইল ফোনের কাছাকাছি শরীরের যেসব কোষ থাকে, সেগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আর দূরের কোষ কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কিভাবে ঝুঁকি কমানো যায়?   বিজ্ঞানীরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।   • মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় কমানো • স্পিকার মুড বা হ্যান্ডস ফ্রি মুড দিয়ে ফোন ব্যবহার করা, ফলে মাথা থেকে ফোন দূরে থাকবে • মোবাইল ফোনের টাওয়ারের কাছাকাছি থাকা। কারণ ফোন যত দূরে থাকবে, সেটি ভালো সিগন্যাল পাওয়ার জন্য তত বেশি শক্তি ছড়াবে • কম বিকিরণ শক্তি ছড়ায়, এমন মোবাইল ফোন বেছে নেয়

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com