শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
।। এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর, ঢাকা ।।
তৃনমূল রাজনীতির পথ বেয়ে জাতীয় রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র,সফল ও জনপ্রিয় সাবেক ছাত্রনেতা, নবীনগরের একমাত্র শিক্ষাবান্ধব, প্রবাসীবান্ধব ও কর্মীবান্ধব জননেতা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ-এর রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের অজানা কিছু কথা
ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ সম্পূর্ন নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করেছেন”লাউর ফতেহপুর ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজ”।ইতোমধ্যেই কলেজটি কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। ২০১৯ ইং সনের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯৬.৫৩% পাশ করে উপজেলায় ১ম স্থান লাভ করে।
ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ শিক্ষা ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিগত প্রায় ১২ বছর যাবৎ নবীনগরের সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থিদের পিএসসি, জেএসসি ও জেডিসি বৃত্তি দিয়ে আসছেন।যা এলাকায় মেধা বিকাশের এক অনন্য মাইল ফলক। এ ছাড়াও এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গরিব ও মেধাবিদের আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন নিয়মিত।
ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে প্রয়াত বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন”হাজী মফিজ- অজুফা হাফেজিয়া মাদ্রাসা”।
তিনি একক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করেন “অগ্রনী ব্যাংক লিঃ শিবপুর শাখা,রূপালী ব্যাংক লিঃ ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজ শাখা” ও রূপালী ব্যাংক লি: কোম্পানিগঞ্জ শাখা নামের ৩টি সরকারি ব্যাংক।যেখান থেকে প্রতিদিন লোকজন সহজে গ্রাহক সেবা নিচ্ছেন।
তাঁর ঐকান্তিক সহযোগিতায় সলিমগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হয়”অলিওর রহমান জেনারেল হাসপাতাল” ও নবীনগরের আহমেদ জেনারেল হাসপাতাল।যেখানে প্রতিদিনই এলাকার রোগীরা স্বল্পমূল্যে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন।
প্রতিবছরই তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে আয়োজন করেন “লাখ টাকার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট”।যেখানে লক্ষাধিক দর্শক খেলা উপভোগ করেন সানন্দে।একবার খেলায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড.বীরেন শিকদার,ধারা ভাষ্যকার চৌধূরী জাফর উল্লাহ শারাফাত ও কায়সার হামিদকে এনে বিরাট চমক সৃ্ষ্টি করেন।এ খেলাটি দেশে-বিদেশে অনেক সমাদৃত।
তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ ফাউন্ডেশন কর্তৃক নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবছরই দরিদ্রদের মাঝে বিতরন করেন ঈদবস্র ও শীতবস্র।এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগেও তিনি সহযোগিতা করেন নিয়মিত।
উপজেলার অনেক স্কুল,মসজিদ, মাদ্রাসা,মাজার,মন্দির সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তাঁর নিজস্ব আর্থিক সহযোগিতা।
তিনি নবীনগর সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ১৯৮৯ সনে নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক ও ১৯৯২ সনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।এছাড়াও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন পদে নেতৃত্ব দেন। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সহ দেশে এবং বিদেশে বহু সংগঠনের নেতৃত্ব দেন।
নবীনগরের মধ্যে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদই একমাত্র ব্যক্তি যিনি আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সফরসঙ্গী হিসেবে জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে যোগদান করেন।
নবীনগরের মধ্যে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদই একমাত্র ব্যক্তি যিনি মিডিয়াতে সবচেয়ে বেশি টকশো করেছেন এবং মিডিয়াতে টকশো ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেশে-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।অনলবর্ষি বক্তা হিসেবে তাঁর রয়েছে অনেক খ্যাতি।
ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাসী একজন নিখাদ মুজিব সৈনিক।
যিনি রাজনীতিকে জীবনের ধ্যান-জ্ঞান হিসেবে লালন করেন খুবই আন্তরিকভাবে।
তিনি একজন সদালাপী ও বিনয়ী ব্যক্তি।যার মধ্যে নেই কোনও অহংকার।যিনি সকল শ্রেনী-পেশার মানুষকে খুব সহজেই আপন করে নিতে পারেন।একজন সাহসী, সত্যবাদী ও স্পষ্টবাদী মানুষ।তিনি ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার।
তিনি একজন ধর্মাণুরাগী ব্যক্তি এবং জানামতে কখনও নামাজ কাযা করেন না।তিনি ১৮ বার পবিত্র হজ্জ্ব ও ওমরাহ পালন করেন।বিগত দিনে বিশ্বের প্রায় ৩৫ দেশে ভ্রমন করেন তিনি।
নবীনগরের উন্নয়নে সর্বদাই তিনি সোচ্চার। ২০০৫ সনে তিনি “আধুনিক নবীনগর গঠনে ৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন চাই” শীর্ষক লিফলেট বের করেন। তখন কে কোথায় রাজনীতি করেছে তা সকলেরই জানা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আস্থাভাজনের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ২ টি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দুই মেয়াদে নিয়োগ প্রদান করেন।
লন্ডনের আয়েশী জীবন ও ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহনের সুযোগ পরিহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় বিরামহীনভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তিনি কখনও কাউকে প্রতিহিংসা করেন না। তিনি প্রায়শই বলে থাকেন হিংসা নয় কাজ করে আমি লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই।
প্রবাসীদের কাছে রয়েছে তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।তাইতো তাঁকে প্রবাসীবান্ধব নেতা হিসেবে ভূষিত করা হয়।
ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ শুধু একটি নাম নয় একটি রাজনৈতিক মাইলস্টোন।যার হাত ধরে হাজারো তরুন আওয়ামীলীগের পতাকাতলে আজ সমবেত।
ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় এত জনকল্যান মূলক কাজ করা নবীনগরের রাজনীতিতে এক অনন্য দৃ্ষ্টান্ত।কেউ কোন সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে গেলে তিনি সর্বাত্নক সমাধানের চেষ্টা করেন।
সর্বোপরি নবীনগরের সর্বত্র রয়েছে তাঁর অবাধ বিচরন এবং বিশেষ করে তরুন সমাজে রয়েছে বিপুল জনপ্রিয়তা।
সন্ত্রাস ও দাঙ্গামুক্ত, শিক্ষা-সমৃদ্ধ আলোকিত নবীনগর গঠন এবং নবীনগর আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে ফুলটাইম রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ-এর সাথেই থাকুন।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দল থেকে মনোয়ন না পেলেও দলীয় মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
এবারও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের জন্য আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন তিনি।