রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
কালের খবর প্রতিবেদক : পুলিশ নিয়োগের জন্য কোচিং সেন্টার খুলে পুলিশে চাকুরি প্রার্থীদের কাছ থেকে ৪ লাখ করে টাকা করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ১ জন দফাদার ও ১জন চৌকিদারসহ ১৪ জনকে আটক করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
গত শনিবার রাতে ও রোববার সকালে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদেরকে আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলো দফাদার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শুভকরদী এলাকার মৃত আব্দুল রব মিযার ছেলে দফাদার আশাদুল্লাহ (৫০) কলাগাছিয়া নিশং এলাকার শাহাবুল্লাহ মিয়ার ছেলে চৌকিদার মনির হোসেন, চাকুরী প্রার্থী মাধভপাশা এলাকার আবু সাঈদ মিয়ার ছেলে আবু নাঈম, শুভকরদী এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে সিযাম. একই এলাকার আনিছ মিয়ার ছেলে মোস্তাকিম, দিঘলদী এলাকার আমির হোসেন মিয়ার ছেলে অনিক, ২নং মাধবপাশা এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে আনাস, দিঘলদী এলাকার শুভ চন্দ্রের ছেলে শিপন চন্দ্র, শুভকরদী এলাকার পিয়ার হোসেনের ছেলে রায়হান, একই এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে তৌহিদ হাসান, একই এলাকার পবিত্র ঘোষের ছেলে সবুজ চন্দ্র ঘোষ, কান্দিপাড়া এলাকার মতিউর রহমানের মেয়ে মারুফা আক্তার মলি, ২নং মাধবপাশা এলাকার মনির হোসেন মিয়ার ছেরে রুবেল ও হাজরাদী চাঁনপুর এলাকার মোতাহার উদ্দিন মিয়ার ছেলে স্বদেশ ভূইয়া।
অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিভাগের ঢাকার বিশেষ শাখার (এসবি) একজন সহকারি উপ পরিদর্শক এবং কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান মিলে কোচিং সেন্টারে মাধ্যমে চাকুরী প্রার্থীদের পুলিশের নিয়োগ বিষয়ে জ্ঞান দেয়া ও চাকুরী পাইয়ে দেয়া হবে।
গত শনিবার পুলিশের নিয়োগের শারীরিক পরীক্ষায় এদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়।
এলাকাবাসি জানান, কলাগাছিয়া বাইতুলাহ মসজিদের পূর্বপাশে গালাক্সি স্কুলের ভেতরে ক্রিয়েটিভ নামে একটি কোচিং সেন্টার খুলেন পুলিশের ঢাকার বিশেষ শাখার সহকারী উপ পরিদর্শক শাহাবুদ্দিন ও বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান।
এখানে ২০ থেকে ২৫ জনকে ভর্তি করানো হয়েছে। সকলকে পুলিশে চাকুরি দেয়া হবে বলে, পুলিশে যোগদানের ব্যাপারে ট্রেনিং করানো হয়। সকলের কাছ থেকে ৪ লাখ করে টাকা করে ভর্তি ফি নেয়া হয়েছে।
কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান বলেন, দফাদার আসাদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার হিসেবে কর্মরত। তার ছেলে এবং মেয়ে দুজনই পুলিশে চাকুরী করেন। আমার ইউনিয়নের অনেক ছেলেপেলে পুলিশের চাকুরীতে আবেদন করেছে। তাদের বলেছি আসাদুল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করতে।