শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
যশোর প্রতিনিধি , কালের খবর :
যশোরের ঘরে ঘরে এখন দেখা দিয়েছে ‘চোখ ওঠা রোগ । এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু থেকে বয়স্করা। এর ফলে চোখের ড্রপের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ফার্মেসিগুলোতে ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। যশোরের বেশির ভাগ ফার্মেসিতে পাওয়া যাচ্ছে না এই রোগের প্রতিষেধক। ওষুধ ব্যবসায়ীদের দাবি, এসব প্রতিষেধকের চাহিদা বাড়লেও কোম্পানিগুলো তা সরবরাহ করতে পারছে না।
যশোরের বঙ্গবাজার, বিসিডিএস, আয়েশা জোহা মার্কেট ও শহরের বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায়, চোখের কোনও ড্রপ অধিকাংশ ফার্মেসিতেই নেই। এছাড়া চশমার দোকানগুলোতেও কালো চশমার চাহিদা বেড়েছে এবং কিছুটা বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক আক্রান্ত রোগী।
জাহান আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দুটি চোখের ড্রপ কিনতে শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে ঘুরে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের একটি আইড্রপ পেয়েছেন কিন্তু এমআরপির চেয়ে দশ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। এমনকি কালো চশমা কেনার জন্য চশমার দোকানে গেলেও অনেকটা বেশি দামে চশমা কিনতে হয়েছে। ওই দোকানে চশমাও ছিল কম।
আয়েশা জোহা মার্কেটের তরিকুল মেডিকেল , বিসিডিএস মার্কেটের চিপ মেডিকেল , খাদিজা ড্রাগ হাউজ ও স্টার মেডিকেলে ক্রেতার চাপ বেশ বেশি ছিলো। কিন্তু তারা কেউই চোখের ড্রপ সরবরাহ করতে পারেননি। খাদিজা ড্রাগ হাউজের আব্দুল মতিন বলেন, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী প্রায় সব কোম্পানি চোখের ড্রপ পর্যাপ্ত সরবরাহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে একটি সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসাপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.হিমাদ্রি শেখর সরকার বলেন , বাজারে ড্রপ নেই বলে বিচলিত হবার কিছু নেই। হাসপাতালে পর্যাপ্ত সরকারী চোখের ড্রপ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ রোগে সচেতন হতে হবে,হাত পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। চোখে চশমা ব্যবহার করতে হবে, ঘনঘন চোখ পরিষ্কার করতে হবে। আক্রান্ত হলে ভয়ের কিছু নেই ৩ দিন পর এমনিতেই এ রোগ সেরে যায়।