কালের খবর রিপোর্ট :

সম্পদের বিবরণীতে ২৭ লাখ টাকার সম্পদ গোপন ও সাড়ে ১২ লাখের বেশি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়ে শরীয়তপুরে এক ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার আব্দুস সালাম খান (৫২) নামে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। বর্তমানে তিনি কর্মরত

আছেন জেলার জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নে।
সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ বালুচরার বাসিন্দা সালাম খানের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে লিখিত অভিযোগ পায় দুদক। তখন তিনি নড়িয়ার ভোজেশ্বর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।
দুদকের অনুসন্ধান শুরুর পর তাঁকে বদলি করা হয় সদরের চন্দ্রপুর ইউনিয়নে। পরে পাঠানো হয় পূর্ব নাওডোবায়।
সালাম খানের বিরুদ্ধে দেওয়া প্রতিবেদনে দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা জানান, ওই সহকারী ভূমি কর্মকর্তার দেওয়া সম্পদের হিসাবে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৯ টাকা গোপন করেন, যা দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া ১২ লাখ ৬১ হাজার ৪৪৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন তিনি। একই আইনের ২৭(১) ধারা অনুযায়ী এটিও শাস্তিযোগ্য।
গত ২০ জুলাই সালাম খানের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দেয় দুদক প্রধান কার্যালয়। ১ আগস্ট এ বিষয়ে মামলা করার নির্দেশনা দেয় মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। এরই ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মামলা করেন সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, সালাম খানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। এ-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ
দুদকের কাছে রয়েছে।
তবে অভিযুক্ত আব্দুস সালাম খানের দাবি, ‘আমার আয়বহির্ভূত কোনো সম্পদ নেই। অনুসন্ধান করেও তা বের করতে পারেনি দুদক। আমার সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ আছে।’ তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের মামলার তথ্যও তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে দুদক প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক শফিউল্লাহ বলেন, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করতে পারবেন।