শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
সাঈদ ইবনে হানিফ, কালের খবর :
যশোরের অভয়নগরে নাইমা খাতুন (৮) নামে এক শিশু ধর্ষণের পর হত্যার কান্ডের শিকার হয়েছে । এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগে আমজাদ হোসেন মোল্লা নামে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ । হত্যাকান্ডের শিকার শিশু উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোঃ মনিরুল ইসলামের মেয়ে।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে , শিশু মেয়ে নাইমার সাথে পাশ্ববর্তী এলাকার আমজাদ নামের একজনের সাথে দোস্ত বন্ধুর সম্পর্ক ছিলো, যে জন্য ৭ আগষ্ট রবিবার বিকেলে মা’কে বলে দোস্তকে পিয়ারা দিয়ে আসি, এই বলে মেয়েটি চলে যায়, আর ফিরে আসেনি।
পরে সন্ধ্যার পর নাইমাকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আমজাদের কাছে গেলেও সে বলে আমি জানিনা। এর পর পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী মিলে টর্চ লাইট নিয়ে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে।এক পর্যায়ে
মেয়েটি বড় চাচা রফিক মিয়া এলাকার লুৎফরের পরিত্যক্ত ঘেরের কচুরীপানার মধ্যে মেয়েটি একটি হাতের অংশ দেখে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী শিশু মেয়ে নাইমার মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে অভয়নগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একই এলাকার কোরেশ মোল্লার ছেলে আমজাদ মোল্লাকে আটক করে। ইতোমধ্যে এই ঘটনা তদন্তে যশোর পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) কাজ শুরু করেছে। মৃত নাইমা খাতুনের বড় ভাই নাঈম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার বোনের হত্যাকারীর মৃত্যুদন্ড চাই।
অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, শিশু মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে, এই ঘটনাটি তদন্তে আমাদের একাধিক টিম ইতিমধ্যে কাজ শরু করেছে। এদিকে শিশু হত্যার ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এবং তাৎক্ষনিকভাবে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ।