মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি, কালের খবর :
গাজীপুরের গাছা থানাধীন কুনিয়া তারগাছ এলাকার পশ্চিম পাড়া চান্দরা মাদ্রাসা রোডের এলাকার সড়ক দখলে করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে। সড়কটি দখল করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহারকারী ৫ শতাধিক পরিবার। এ বিষয়ে একাধিকবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম দুলালের কাছে অভিযোগ করেও সমাধান পাননি বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
শনিবার (২৩ জুলাই) সরজমিনে জানা যায়, কুনিয়া চান্দুরা পশ্চিমপাড়া মোতালেব মার্কেটের ওই সড়কের প্রধান ফটকে রাখা আছে দোকান নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইট বালু। সড়কের প্রবেশের প্রধান ফটকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এলাকার বাসাবাড়ি পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় নীল মিয়া, তার ছোট ভাই সুরুজ মিয়া ও ছেলে দলিল লেখক হারুন অর রশিদ। সরকারিভাবে নির্মিত সড়কের মালিকানা দাবি করে তারা গত ৩ মাস ধরেই সড়ক দখল করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দোকান নির্মাণের কাজ করায় বৃষ্টির পানি ও বাসাবাড়ির ময়লা পানি জমে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে এ সড়ক ব্যবহারকারীদের। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানি মাড়িয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী ও পরিবারের যাতায়াত করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা দীন মোহাম্মদ বলেন, কয়েক দফা এ সড়কের প্রবেশমুখ দখল করে দোকান নির্মাণের চেষ্টা করে আসছে হারুনুর রশীদ, তার চাচা সিরাজ মিয়া ও তার বাবা নিল মিয়া। সড়ক দখলে করতে বাধা দিলে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন এই দলিল লেখক ও তার পরিবারের সদস্যরা। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এলাকাবাসীর উপর হামলার চেষ্টা করেন তারা।
স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃষ্টি আক্তার বলেন, প্রতিদিন এই নোংরা পানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। পানিতে নষ্ট হয়ে যায় স্কুলের পোশাক। সড়কে নোংরা পানি থাকায় প্রায়ই পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে আমাদের। দ্রুত যদি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে আমাদের চরম দুর্ভোগ অবস্থার মধ্য দিয়ে চলতে হবে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা সুর মোহাম্মদ সোনা মিয়া বলেন, সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য একাধিকবার তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। তবে উল্টো তারা অনুরোধ না রেখে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দোকান নির্মাণের জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বারবার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম দুলালকে বিষয়টি অবগত করেও সুফল পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম দুলালের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে যাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শিরিন আক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করাহলে তিনি এবিষয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
অভিযুক্ত হারুন অর রশিদ ও তার বাবা নীল মিয়া বলেন, এটা আমাদের জায়গা। এই জায়গা আমরা দোকান নির্মাণ করবোই। প্রয়োজনে আমরা কোর্টে মামলা করবো।
৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ প্রার্থী রাশেদুজ্জামান জুয়েল মন্ডল বলেন, সড়কটি নিয়ে যারা স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি কমানোর জন্য সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের অনুরোধ করছি।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা শাহরীন মাধবী জানান, সড়ক দখল করে জনসাধারণের ভোগান্তি সৃষ্টি করাটা বেআইনি। এবিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।