শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ভুমিকা রাখবে বাঁশরী ওয়াদুদ ফুটবল টুর্নামেন্ট : ওয়াদুদ ভূইয়া। কালের খবর গুইমারায় অস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। কালের খবর মাকে ৭ বছর পর পেয়ে জড়িয়ে ধরলেন তারেক রহমান। কালের খবর জমি দখলে বেপরোয়া রুহুল আমিন হাওলাদার। কালের খবর মাটিরাঙায় সেনা অভিযানে ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দ। কালের খবর দুর্গম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেনাবাহিনীর শিক্ষা উপকরণ বিতরণ। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় তারুণ্যের উৎসবে বর্ণাঢ্য র‍্যালি। কালের খবর খাগড়াছড়িতে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। কালের খবর মুন্সিগঞ্জে জাতীয় পার্টির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত। ।
আখাউড়ায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ। কালের খবর

আখাউড়ায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ। কালের খবর

ইয়াছিন আরাফাত (আশিক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, কালের খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ী মশিউর রহমান শান্ত পৌরশহরের মসজিদপাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে। এব্যাপারে মশিউর রহমান শান্তর বড় ভাই মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘খরমপুর গ্রামের দিদার হোসেন খাদেমের মেয়ে হেপি আক্তারের সাথে শান্তর স্ত্রীর বান্ধবীর সম্পর্ক ছিল। হেপির মা মনোয়ারা বেগম সহ তাদের দুই পরিবারের লোকজন আসা যাওয়া করতো। একটি যায়গা কিনার জন্য টাকার প্রয়োজন হওয়ায় হেপি পাঁচ লক্ষ টাকা নেয়। পরবর্তীতে হেপির মা ব্যাংকের চেক দিয়ে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা নেয়। সর্বশেষ আরেকটি চেক দিয়ে আরও ৫০হাজার টাকা নেয়। কিছুদিন আগে আলামিন মেম্বারের মাধ্যমে ৫০হাজার টাকা দিয়ে ৫০হাজার টাকার চেকটি আবার ফেরত নেয়। পাঁচ লক্ষ টাকার চেকগুলো ব্যাংক ডিজঅনার করে। প্রায় দুই মাস আগে হেপি ও হেপির মা মনোয়ারা বেগম দশ লক্ষ টাকা আত্মসাতের পায়তারা শুরু করলে শান্ত বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করে। চেক হারিয়ে গেছে দাবি করে কোর্ট থেকে তারা জামিনে আসে। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাইয়ের নামে হেপি আক্তার থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে। দশ লক্ষ টাকার মামলা তুলে না নিলে আরও তিনটি মামলা করবে বলে হুশিয়ারি দেয়।’

শান্তর স্ত্রী পারুল বেগম বলেন, ‘হেপি আমার অনেক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিল। পরে হেপি আমার স্বামীর সাথে পরিচিত হয়। সরল মনে হেপি ও তার মাকে দুই দফায় দশ লক্ষ টাকা যায়গা কেনার জন্য দেয়। দশ লক্ষ টাকা

টাকা ফেরত চাওয়ায় উল্টো আমার স্বামীকে হেপির পর্ন ছবি ছড়ানোর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করে। হেপির সাথে আমার স্বামীর কোনো অনৈতিক সম্পর্ক ছিল না।’

এর আগে গত ২০শে জুন রাতে ‘হেপি খড়মপুর’ নামে ফেইক আইডি থেকে হেপির বিভিন্ন পর্ণ ছবি ছড়ানো হয়। পরে হেপি শান্তকে আসামী করে আখাউড়া থানায় মামলা করেন। গত ২২শে জুন হেপির অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

হেপি আক্তারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর মোবাইল ফোনে কথা বলার মধ্য দিয়ে মশিউর রহমান শান্তর সাথে হেপির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিভিন্ন যায়গাতে শারিরীক সম্পর্কের এবং ইমুতে কথা বলার সময়ের খোলামেলা পর্ণ ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তার আত্মীয় স্বজনের কাছে পাঠানোর অভিযোগ করা হয়। এদিকে মশিউর রহমান শান্তর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তারা।

আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, ‘ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগে পর্নোগ্রাফী আইনে শান্তকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডির ফরেনসিক শাখার তদন্তের পর পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। পাওনা টাকা ও চেকের বিষয়টি নারীর অভিযোগে ছিল না, এনিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com