মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
ইয়াছিন আরাফাত (আশিক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি, কালের খবর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় স্কুলে যাতায়াতের পথে ছাত্রীদের ইভটিজিং ও মারধর করায় বখাটে যুবকের বিচারের দাবি জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার(১৩জুন) দুপুর আড়াইটার সময় উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামের মৃত ইসহাক মিয়ার ছেলে এমরান মিয়া(৩৫) তার বাড়ির সামনে তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া দুইজন শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় টানোয়াপাড়া গ্রামের শাহীন মিয়া বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় অভিযোগ দেন।
অভিযোগকারী শাহীন মিয়া বলেন, আমার ভাতিজি আসমা আক্তার ও জামিলা খাতুন নয়াদিল প্রাইমারী স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। আমার ভাতিজিরা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এমরানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে সে তাদের পিছু নিয়ে আপত্তিকর কথা বলতে থাকে। আমার ভাতিজিরা তার নামে বিচার দিবে বলার পর তাদেরকে চরথাপ্পর ও লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে জখম করে । এই ঘটনা কারো কাছে বললে জানে মেরে ফেলবে বলেও হুমকী দেয়। এমন অসংখ্য মেয়েকে রাস্তাঘাটে বিরক্ত করে সে।
টানোয়াপাড়া গ্রামের একাধিক অভিভাবক ও ছাত্রী বলেন, আমাদের গ্রামে কোনো স্কুল নাই। এজন্য নয়াদিল গ্রামের সড়ক দিয়ে গ্রামের শতশত নারী -শিশু, শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। সড়কের পাশে বখাটে এমরানের বাড়ি। অনেকদিন ধরেই এমরান গ্রামের বিভিন্ন নারী,শিশু এবং ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছে। তার অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করলে হুমকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। টানোয়াপাড়া গ্রামের ভিতরে এসেও শিক্ষার্থীদের পিছনে ঘুরাঘুরি করে। নারী উত্যক্ত করা যেন তার নেশা হয়ে গেছে। এসবের বিচার না হওয়ায় দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সে। তার বিরুদ্ধে একাধিক বার সালিশ হয় এবং প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দেয়। বখাটে এমরানের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান গ্রামবাসীরা।
অভিযুক্ত এমরানের কাছে ছাত্রীদের ইভটিজিং ও মারধরের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করেন তিনি।
মোগড়া ইউপির তিন নং ওয়ার্ড মেম্বার আলমগীর মিয়া বলেন, এমরানের নামে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের ইভটিজিং করার অনেকগুলো অভিযোগ রয়েছে। ভবিষ্যতে আর কোনো মেয়েকে ইভটিজিং করলে জেল দিবে এমন শর্তে প্রায় ছয় মাস আগে উপজেলা প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়েছিল সে। তবুও তার অপকর্ম থামছেনা। স্কুলের ছাত্রীদের মারধর ও বিরক্তের ঘটনায় মোগড়া ইউপির চেয়ারম্যান এম.এ মতিনের কাছে নালিশ করা হয়েছে ।
এবিষয়ে আখাউড়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।