সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
যশোরে একের পর এক খুন হচ্ছে। হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে। আবার চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। কি শহরে, কি শহরতলীতে, এমনকি গ্রামাঞ্চলেও পরিবেশ এখন চরম উত্তপ্ত।গত এক সপ্তাহে খুন হয়েছে ৫জন। তুচ্ছ ঘটনায় হত্যাকান্ড বাড়ছে। পরিস্থিতি বেগতিক হচ্ছে। ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।
দ্রুত পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ পদক্ষেপ দাবি করেছে যশোরের মানুষ।
চলছে সংযমের মাস পবিত্র রমজান। হিংসা ভুলে ত্যাগের মহিমায় নিজেকে উজ্জল ও মহিমান্বিত করার মাসেও যশোর চরম উত্তপ্ত। ঘটে যাচ্ছে চরম লোমহর্ষক ঘটনা। ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে দশটা। চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের টেঙ্গুরপুর মোড়। একই গ্রামের আফজাল খানের ছেলে বিপুল ও মুকুলের নেতৃত্বে চাপাতি, হাসুয়া, লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করে তাদেরই দুই ঘণিষ্ট জনকে। নিহতরা হচ্ছেন সহোদর ইউনুস আলী খান ও আইয়ুব আলী খান। আর এখনও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আইউব আলী খানের ছেলে আসাদুজ্জামান খান রনি।
ওই জোড়া হত্যাকান্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই্ যশোরের শহরতলী আড়পাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে আব্দুর রহমান (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আরো এক যুবককে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ১০ এপ্রিল বিকেল ৪ টার দিকে যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুরের আড়পাড়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে এই ঘটনা ঘটে।
আর এই খবর ১১ এপ্রিল সকালে প্রকাশ হওয়ার পর সকাল ৯ টায় আবার খবর আসে যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের তীরেরহাট কাদিরপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল তরফদারের ছেলে মোটরসাইকেল চালক কাইয়ুম আলী তরফদারকে (৫৫) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এদিন যশোরের চৌগাছা উপজেলার সৈয়দপুর মাঠ থেকে পুলিশ ওই ভাড়ার মোটরসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার করে।
৩টি স্পটে ৭ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পযন্ত খুন হলেন ৪ জন। এছাড়া অপহরণের তিন দিন পর ৭ এপ্রিল যশোরের মণিরামপুরে ইকরামুল হোসেন (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পিবিআই।
এর আগে ২৫ মার্চ রাতে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে খুন হন পুরাতনকসবা টালিখোলার হোসাইন মোহম্মদ রুম্মান। হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকার চিহ্নিত ১০ জন জড়িত বলে মামলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ মার্চ এক ভাইয়ের হত্যা মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় আরেক ভাইকে খুন করা হয়। নিহতের নাম আলম। পেশায় ইজিবাইক ব্যবসায়ী। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ এ ব্যাপারে দ্রুত পুলিশের উপর মহলে জরুরি পদক্ষেপ কামনা করেছেন। আইনশৃংখলা বাহিনীর টহল বাড়ানোসহ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছেন।
যশোর কেতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, হত্যাকান্ডগুলো অনাকাঙ্খিত। একের পর এক ঘটনা ঘটছে, আবার আসামি ও জড়িত শনাক্ত ও আটকও হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ টহল ও অভিযান বাড়িয়েছে।